এক তরুণীর বাড়ির উঠোন থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। সোমবার রাতে হুগলির হরিপালের ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম শেখ ঘোটন (৪২)। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। তিনি আদতে মুর্শিদাবাদের চাঁদনি চকে। কর্মসূত্রে হরিপালের পাঁটরা পঞ্চায়েতের অনন্তপুরে ভাড়া থাকতেন। যে বাড়ি থেকে দেহটি মেলে, সেখানকার পাঁচিল টপকে বেরনোর সময়ে পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয় বলে ওই বাড়ির লোকজনের দাবি।
মৃতের দাদা শেখ লুটু পুলিশকে লিখিত ভাবে ঘটনার যথাযথ তদন্তের দাবি জানান। লুটু বলেন, “সাত ফুট পাঁচিল থেকে পড়ে সঙ্গে সঙ্গে কোনও যুবকের মৃত্যু হতে পারে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হোক।” পুলিশ জানিয়েছে, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে ওই যুবকের স্ত্রী-ছেলে আছেন। মাস তিনেক আগে অনন্তপুর গ্রামের ওই বাড়ির এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়। তরুণীর বাড়ির লোক তা জানতেন না বলে দাবি করেছেন। তরুণীর দাবি, সোমবার রাত ১টা নাগাদ ঘোটন পাঁচিল টপকে তাঁদের বাড়িতে ঢোকেন। তাঁকে মোবাইলে ফোন করে দরজা খুলতে বলেন। কিন্তু স্বামী মদ্যপ থাকায় তিনি দরজা খোলেননি। স্বামীকে তিনি চলে যেতে বলেন। এর পরেই পাঁচিল টপকে বেরোতে গিয়ে কোনও ভাবে নীচে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ভোরে বিষয়টি নিয়ে গ্রামে হইচই শুরু হয়। মৃতের দাদা এবং ভাইপো কাছেই থাকেন। তাঁরা চলে আসেন। একদল গ্রামবাসী দেহ উদ্ধারে পুলিশকে বাধা দেন। মৃতের আত্মীয় এবং গ্রামবাসীরা দাবি করেন, ওই ঘটনা নিতান্ত দুর্ঘটনাবশত ঘটেছে, না কি এর পিছনে ওই পরিবারের ভূমিকা আছে তা পুলিশকে দেখতে হবে। শেষমেশ গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠান হরিপাল থানার ওসি বঙ্কিম বিশ্বাস।