দুষ্কৃতী-তাণ্ডব চলছেই, আতঙ্কে চুঁচুড়ার মানুষ

ভরদুপুরে ব্যান্ডেলের রাস্তায় এক যুবককে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। শনিবার ওই ঘটনায় স্থানীয় এক মহিলা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে সাত জনের নাম রয়েছে। কিন্তু রবিবার রাত পর্যন্ত আততায়ীদের হদিস পায়নি পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৪ ০১:৩৮
Share:

ভরদুপুরে ব্যান্ডেলের রাস্তায় এক যুবককে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। শনিবার ওই ঘটনায় স্থানীয় এক মহিলা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে সাত জনের নাম রয়েছে। কিন্তু রবিবার রাত পর্যন্ত আততায়ীদের হদিস পায়নি পুলিশ। হুগলির পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী জানান, অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক। তাদের ধরতে চিরুনি তল্লাশি চলছে। প্রাথমিত তদন্তে পুলিশের অনুমান, মহম্মদ সাদ্দাম নামে বছর আঠারোর ওই যুবক ব্যান্ডেলে হেরোইনের কারবার চালাত। সেই নিয়েই গোলমালের জেরে ওই খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

Advertisement

পুলিশ সুপার দুষ্কৃতীদের গ্রেফতাররের আশ্বাস দিলেও সাম্প্রতিক কালে জেলা সদর চুঁচুড়ায় একের পর এক সমাজবিরোধীমূলক কার্যকলাপ উদ্বেগ বাড়িয়েছে সাধারণ মানুষের। তাঁদের বক্তব্য, জেলা পুলিরে কর্তাদের দফতর এই শহরেই। কিন্তু সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্য তাতে তো কমছেই না, উল্টে বেড়ে চলেছে। চুঁচুড়া, হুগলি, ব্যান্ডেল স্টেশনের আশপাশে রমরমিয়ে চলছে অবৈধ মদের ঠেক। সেই সব ঠেক থেকে অশান্তি ছড়াচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, এক দিকে ব্যবসায়ীদের হুমকি দিয়ে তোলাবাজি চলছে। অন্যদিকে, এলাকা দখল নিয়ে বিভিন্ন দুষ্কৃতী দলের মধ্যে প্রকাশ্যেই চলছে গুলি-বোমার লড়াই। চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগর, হুগলি স্টেশন চত্বর, ব্যান্ডেল স্টেশন সংলগ্ন বালিকাটা, লোকোপাড়া কার্যত দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। আতঙ্ক এতটাই যে সূর্য ডোবার আগে লোকজন ঘরে ঢুকে পড়ছেন। রাতেও নিতাম্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না।

গত কয়েক মাসে একটার পর একটা ঘটনা ঘটেছে। ১৬ মার্চ চুঁচুড়ার নারকেলবাগান এলাকায় প্রাতর্ভ্রমণকারী এক বৃদ্ধাকে নৃশংস ভাবে খুন করে দুষ্কৃতীরা। তাদের হাতে জখম হন আরও এক বৃদ্ধা। গত ১৫ এপ্রিল, পয়লা বৈশাখ রবীন্দ্রনগরের মিলন সিনেমার কাছে প্রকাশ্য দিনের আলোয় দু’দল দুষ্কৃতীর মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। এক দুষ্কৃতী গুলিবিদ্ধ হয়। এক গোষ্ঠীর এক জনকে পিটিয়ে মেরে ফেলে আর এক গোষ্ঠীর লোকজন। তদন্তে নেমে পুলিশ এখনও ওই ঘটনায় কাউকে ধরতে পারেনি। বরং ওই ঘটনার রেশ মানুষের মন থেকে মুছে যেতে না যেতেই শনিবার ফের প্রকাশ্যে ব্যান্ডেলের বালিকাটায় গুলি করে খুনের ঘটনায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের বাগে আনতে পুলিশ ব্যর্থ। যদিও এমন অভিযোগ মানতে নারাজ জেলা পুলিশের কর্তারা।

Advertisement

পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “প্রত্যেক ঘটনায় নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলিতে যারা জড়িত তারা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। কাউকে ছাড়া হবে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন