ভোট হতেই টোটোয় চোট

লোকসভা ভোটের আগে শহর জুড়ে যথেচ্ছ হারে শুরু হয়েছিল ব্যাটারি চালিত ‘টোটো’র চলাচল। এ বার তাতে রাশ টানতে চলেছে প্রশাসন। আজ, সোমবার থেকে জি টি রোড ও সালকিয়া স্কুল রোডে টোটোর চলাচল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি, নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে রিকশাও।

Advertisement

দেবাশিস দাশ ও শান্তনু ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৪ ০২:০৮
Share:

লোকসভা ভোটের আগে শহর জুড়ে যথেচ্ছ হারে শুরু হয়েছিল ব্যাটারি চালিত ‘টোটো’র চলাচল। এ বার তাতে রাশ টানতে চলেছে প্রশাসন। আজ, সোমবার থেকে জি টি রোড ও সালকিয়া স্কুল রোডে টোটোর চলাচল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি, নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে রিকশাও।

Advertisement

টোটোচালকেরা অবশ্য এই নির্দেশের প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে বালি থানা ঘেরাও, পরে শনিবার বালি ট্রাফিক গার্ডে গিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। তাঁদের দাবি, তাঁদের জি টি রোডে চলতে দিতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, যে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নেই, বিমা নেই, চালকের লাইসেন্স নেই, রুট পারমিটও নেই, সেই গাড়ি গত দু’মাস ধরে জি টি রোড-সহ বিভিন্ন এলাকায় চলাচল করছে কার অনুমতিতে?

রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের দাবি, “স্থানীয় ভাবেই ওই ব্যাটারিচালিত গাড়িগুলি নামানো হয়েছিল। এতে পরিবহণ দফতরের ভূমিকা নেই। তবে এই টোটো পুরোপুরি বেআইনি। বিমা, পারমিট, রেজিস্ট্রেশন নম্বর না থাকা নিয়ে বিপদের কথা চিন্তা করে পুলিশ যে আপত্তি করেছে তা যুক্তিযুক্ত। কিন্তু একেবারে বন্ধ না করে একটা রূপরেখা তৈরি করা প্রয়োজন। কয়েক দিনের মধ্যে পরিবহণ দফতর একটি রূপরেখা তৈরি করবে। পুলিশেরও উচিত পুরসভা ও পঞ্চায়েতের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টিকে বৈধতা দেওয়া।”

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, রিকশাচালকদের একাংশের ইচ্ছেমতো আচরণ রুখতে বেলুড়ে ৪-৫ জন যুবক প্রথম এই টোটো রাস্তায় নামান। বেলুড় মঠ ও স্টেশন ছাড়াও বালি খাল, উত্তরপাড়া, সালকিয়া, হাওড়া ময়দান, শিবপুর-সহ বি টি রোডের দিকে নামে প্রায় শ’পাঁচেক টোটো।

টোটো নিয়ে পুলিশের আপত্তি-
১) খুবই কম গতির যান (ঘণ্টায় ২০ কিমি)। ফলে জি টি রোডে যানজট হচ্ছে।
২) যাত্রীদের কোনও বিমা (থার্ড পার্টি ইনশিওরেন্স) নেই।
৩) রেজিস্ট্রেশন নম্বর না থাকায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সন্ধান করা কঠিন।
৪) ভাড়ার নির্দিষ্ট কোনও তালিকা ও রুট পারমিট নেই।
হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার অজেয় রানাডে বলেন, “টোটো নিয়ে রূপরেখা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত সেগুলি জি টি রোডে চলতে দেওয়া যাবে না। রিকশা নিয়েও পুরসভার সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।” সিটি পুলিশ সূত্রে খবর, টোটোর নির্দিষ্ট রুট তৈরির জন্য পুরসভার কাছে আবেদন করা হয়েছে।

হাওড়া পুরসভার মেয়র রথীন চক্রবর্তী বলেন, “টোটো ও রিকশা নিয়ে ত্রিপুরায় একটি রেগুলেটরি অ্যাক্ট হয়েছে। এখানেও কমিটি গড়ে সেই আইন আনা যায় কি না তা নিয়ে আলোচনা করছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন