মিটতে চলেছে বাসিন্দাদের দাবি, শ্যামপুরে তৈরি হচ্ছে আইটিআই

শ্যামপুরে আইটিআই চালুর কাজ চলছে জোর কদমে। আগামী ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে সেখানে পঠন-পাঠন ক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশা। আধুনিক মানের এই কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি চালু হলে উপকৃত হবে হাওড়া-সহ লাগোয়া তিন জেলার বহু ছাত্র-ছাত্রী। ২০১১ সালে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে কারিগরি শিক্ষার প্রসারে জোর দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৪ ০১:২৮
Share:

শ্যামপুরে আইটিআই চালুর কাজ চলছে জোর কদমে। আগামী ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে সেখানে পঠন-পাঠন ক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশা। আধুনিক মানের এই কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি চালু হলে উপকৃত হবে হাওড়া-সহ লাগোয়া তিন জেলার বহু ছাত্র-ছাত্রী। ২০১১ সালে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে কারিগরি শিক্ষার প্রসারে জোর দেন। এ জন্য রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে আইটিআই (ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, হাওড়ার শ্যামপুরে আইটিআই তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের। সেই অনুযায়ী বেলপুকুরের অমরাবতী এলাকায় এই কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। গত বছর মার্চ-এপ্রিল নাগাদ অমরাবতী এলাকায় ৫.১ একর জমির উপর আইটিআই-এর নির্মাণ কাজ কাজ শুরু হয়। আপাতত দোতলা এই ভবনে প্রাথমিকভাবে ওয়েলডিং, ফিটার ও ইলেকট্রিক্যাল এই তিনটি বিভাগ পড়ানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা হাওড়া হোমস আইটিআই-এর অধ্যক্ষ অনির্বাণ নাগ বলেন, “এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকছে উন্নতমানের প্র্যাকটিক্যাল রুম, লাইব্রেরি, উন্নতমানের যন্ত্রপাতি-সহ আধুনিক ব্যবস্থা।” কো-এড এই কারিগরি শিক্ষাকেন্দ্রে প্রাথমিকভাবে ১০ থেকে ১৫ জন ছাত্র-ছাত্রীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। তবে পরবর্তীকালে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। শিক্ষাকেন্দ্রটি চালু হলে হাওড়া জেলা ছাড়া পাশ্ববর্তী পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বহু ছাত্র-ছাত্রী উপকৃত হবে বলে মনে করছেন শ্যামপুর কলেজের গভর্নিং কমিটির সদস্য এবং আইটিআই-র অন্যতম উদ্যোক্তা নদেবাসী জানা। তিনি জানান, ৫০ বছর আগে তৎকালীন কংগ্রেস বিধায়ক মুরারীমোাহন মান্না এই শিক্ষাকেন্দ্রের জন্য ৩০ বিঘা জমি দান করেছিলেন। তৎকালীন শিল্পবাণিজ্য মন্ত্রী তরুণকান্তি ঘোষ এর শিলান্যাসও করেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে পুরো বিষয়টি চাপা পড়ে যায়। বাম আমলে এই জমি চাষিদের দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু পরে জমি পুনরুদ্ধার করে আইটিআই তৈরির জন্য তৃণমূল সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

বর্তমানে শ্যামপুরে একটি কলেজ রয়েছে। তার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার জন্য এমন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে এলাকার চেহারা বদলে যাবে বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তা ছাড়া এর ফলে প্রচুর ছাত্রছাত্রীরও উপকৃত হবে। বর্তমানে জেলায় একটি মাত্র আইটিআই রয়েছে। শুধু শ্যামপুর নয়, চেঙ্গাইলেও আর একটি আইটিআই কলেজ তৈরি হচ্ছে।

Advertisement

শ্যামপুরের তৃণমূল বিধায়ক কালিপদ মণ্ডল ও শ্যামপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনিরা রহমান বলেন, “দীর্ঘদিন পর এখানে বর্তমান রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আইটিআই গড়ে উঠতে চলেছে। এর ফলে শ্যামপুরের শিক্ষার মানচিত্র বদলে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন