মিনাখাঁয় উদ্ধার বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র, ধৃত ৩

এক ব্যক্তি। নাম অনেক। আর তারই সুযোগ নিয়ে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পর পর অপরাধ করে যাচ্ছিল সে। মূলত সোনার দোকানে ডাকাতিতেই সিদ্ধহস্ত ছিল সে। উত্তর ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া সব জেলাতেই ডাকাতি, ছিনতাইয়ে অভিযুক্ত জয়ন্ত মণ্ডল ওরফে কৃষ্ণ ওরফে প্রশান্ত ঘুম কেড়েছিল পুলিশের। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ থানার মালঞ্চ ত্রিমোহনী এলাকায় দুই সঙ্গী-সহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জয়ন্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৪ ০০:৩২
Share:

উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও মালমশলা।

এক ব্যক্তি। নাম অনেক। আর তারই সুযোগ নিয়ে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পর পর অপরাধ করে যাচ্ছিল সে। মূলত সোনার দোকানে ডাকাতিতেই সিদ্ধহস্ত ছিল সে। উত্তর ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া সব জেলাতেই ডাকাতি, ছিনতাইয়ে অভিযুক্ত জয়ন্ত মণ্ডল ওরফে কৃষ্ণ ওরফে প্রশান্ত ঘুম কেড়েছিল পুলিশের। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ থানার মালঞ্চ ত্রিমোহনী এলাকায় দুই সঙ্গী-সহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জয়ন্ত। পুলিশ জানিয়েছে, সঙ্গী দু’জনের নাম কামাল বৈদ্য ও সহিদুল মোল্লা। ধৃতদের কাছ থেকে ৪টি রিভরভার, ৮ রাউন্ড গুলি, ১৫ হাজার জাল টাকা (৫০০ টাকার) এবং ২ কেজি বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার করেছে। ওই দিনই হাসনাবাদ ও বাদুড়িয়ায় অভিযান চালিয়ে আরও তিনটি রিভলভার উদ্ধার করে পুলিশ।

Advertisement

বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গত কয়েক দিনে পর পর অভিযান চালিয়ে মহকুমার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছে পাওয়া গিয়েছে ১০টি বন্দুক, ১৪টি পাইপগান, ১০টি রিভলভার ও ৩২ রাউন্ড গুলি।”

কিছুদিন আগে মিনাখাঁয় হাঁসা ওরফে ইউসুফ মোল্লার বাড়িতে অস্ত্র কারখানার হদিস পায় পুলিশ। হাঁসাকে জেরা করে ধরা পড়ে বারিক মোল্লা ও নাজিম মোল্লা। তাদের জেরা করে পুলিশ জয়ন্তর নাম জানতে পারে। গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায় বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ সঙ্গীদের নিয়ে জয়ন্ত ব্যাঙ্ক ডাকাতির উদ্দেশ্যে মালঞ্চ বাজারে জড়ো হবে। এর পরেই মিনাখাঁ থানার ওসি তুষার বিশ্বাসের নেতৃত্বে সাদা পোশাকে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকা ঘিরে ফেলে। নির্দিষ্ট সময়ে জয়ন্ত সেখানে পৌঁছলে পুলিশের হাতে বমাল ধরা পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে কয়েক মাস আগে অস্ত্র বিক্রির অভিযোগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলি এলাকার বাসিন্দা জয়ন্তকে সন্দেশখালি থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। তখন সে নিজেকে প্রশান্ত বলে দাবি করে। তার জেল হয়। সম্প্রতি ছাড়া পেয়ে কৃষ্ণ নাম নিয়ে সে ফের ডাকাতি শুরু করেছিল।

Advertisement

—নিজস্ব চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন