ফের হুগলির হরিপালে বিজেপি সমর্থককে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
রবিবার পশ্চিম গোপীনাথপুরের গজা এলাকায় প্রহৃত হন নির্মল মুর্মু নামে ওই বিজেপি সমর্থক। এই ঘটনা-সহ সার্বিক ভাবে হরিপাল জুড়ে শাসক দলের ‘সন্ত্রাস’-এর প্রতিবাদে সোমবার থানায় বিজেপির তরফে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
পুলিশ সূত্রে খবর, পাশের গ্রামে মনসা পুজো দেখে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ দু’জনের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন নির্মল। গজা-পূর্বপাড়ায় ১০-১২ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক তাঁদের ঘিরে ধরে নির্মলকে মারধর করে বলে অভিযোগ। অন্যরা পালাতে পারলেও হামলাকারীদের মারে নির্মলের মাথা ফাটে। নির্মলের অভিযোগ, “কেন বিজেপি করি, সেই প্রশ্ন তুলে তৃণমূলের ছেলেরা আমাকে বেধড়ক মারে।”
ওই ঘটনাকে সামনে রেখে এ দিন দুপুরে বেশ কিছু বিজেপি সমর্থক হরিপাল থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। থানায় স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। বিকেলে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি প্রভাকর তিওয়ারি, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু-সহ কয়েক জন নেতা হরিপালে আসেন। থানায় ওসি বঙ্কিম বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলেন। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, লোকসভা ভোটের পর অন্যান্য জায়গার মতো হরিপালেও দলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়ছে। তাতেই ভয় পেয়ে তৃণমূলের লোকজন চোরাগোপ্তা আক্রমণ করছে।
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ তৃণমূলের সমীর মিত্র। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “ওই যুবক রবিবার লোকজন নিয়ে একটি গাছ ওপড়ানোর অভিযোগ তুলে আমাদের পঞ্চায়েতের মহিলা উপপ্রধানের বাড়িতে হামলা চালায়। তাঁর শিশুসন্তান আহত হয়। গ্রামবাসীরাই এর প্রতিরোধ করেন। বিজেপি এটা নিয়ে নাটক করছে।’’ যদিও কোনও মহিলা উপপ্রধানের বাড়িতে হামলার কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।