আলু ব্যবসায়ী সমিতির বক্তব্য, নতুন হিমঘরের দরকার নেই। হিমঘর-মালিকেরা কিন্তু বলছেন, নতুন হিমঘর চাই। কারণ আলুর উৎপাদন বাড়ছে। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যে হিমঘরের সংখ্যা আরও বাড়ানো দরকার বলে মনে করে কৃষি বিপণন দফতর। কিন্তু হিমঘর বাড়ানো নিয়ে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে হিমঘর-মালিক সংগঠন এবং আলু ব্যবসায়ী সমিতির মধ্যে। এবং তাদের মতভেদের মূলে আছে ভাড়ার প্রশ্নটি।
আলু ব্যবসায়ী সমিতির বক্তব্য, নতুন হিমঘরের দরকার নেই। হিমঘর-মালিকেরা কিন্তু বলছেন, নতুন হিমঘর চাই। কারণ আলুর উৎপাদন বাড়ছে। তাই হিমঘরে পুঁজি বিনিয়োগ করতে হলে হিমঘরের ভাড়া বাড়াতে হবে। উৎসাহ দিতে হবে লগ্নিকারীদের।
কৃষি বিপণনমন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত জানাচ্ছেন, রাজ্যে ৫০০টি হিমঘরের মধ্যে চালু আছে ৪২৫টি। বন্ধ ৭৫টি হিমঘর খোলার চেষ্টা চলছে। ওগুলো খুলতে পারলেই সমস্যার অনেকটা সমাধান হবে। ‘‘চাষিদের কথা মাথায় রেখেই সব কিছু করা হবে। হিমঘরের ভাড়া বাড়ানো হবে না। তবে কেউ নতুন হিমঘর গড়তে চাইলে অবশ্যই স্বাগত,’’ বলছেন তপনবাবু।
হিমঘর-মালিকদের সংগঠনের সভাপতি পতিতপবন দে জানান, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বেশি আলু উৎপাদন হয় উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাতে। ওই সব রাজ্যের হিমঘরে কুইন্টাল-প্রতি আলুর ভাড়া ২০০ টাকা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে প্রতি কুইন্টাল আলুর ভাড়া ১৫২ টাকা। ন্যায্য ভাড়া দিলেই হিমঘর তৈরি করা সম্ভব হবে। হিমঘর-মালিকদের একাংশের বক্তব্য, এ বছর প্রায় এক কোটি ২০ লক্ষ মেট্রিক টন আলু হবে রাজ্যে। ৭০ লক্ষ মেট্রিক টন আলু রাখার জায়গা আছে। হিমঘরে জায়গা বাড়াতে বা হিমঘরে বিনিয়োগের জন্য উৎসাহ দিতে হলে ন্যূনতম ভাড়া ১৮০ টাকা করতে হবে।
হিমঘরের ভাড়া বাড়ালে তাঁরা রাস্তায় নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘হিমঘরের ভাড়া বাড়লে লোকসান হবে আলু ব্যবসায়ীদের।’’ কত কুইন্টাল আলু রেখে কত টাকা লাভ হয়, সেই হিসেব কষলেই তো বোঝা যাবে, লাভ হচ্ছে, না লোকসান। সরকার হিসেব দেখুক।