ঝাড়গ্রামে আগাম জামিন দিলীপের

আগে থেকেই কলকাতা হাইকোর্টের শর্তাধীন আগাম জামিনে ছিলেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার অস্ত্র আইনে অভিযুক্ত দিলীপবাবু ও বিজেপি’র যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তুষারকান্তি ঘোষ ঝাড়গ্রাম এসিজেএম (১) আদালতে অনিরুদ্ধ সাহার এজলাসে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৭ ০১:৩৫
Share:

স্বস্তি: ঝাড়গ্রাম আদালতে দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র

আগে থেকেই কলকাতা হাইকোর্টের শর্তাধীন আগাম জামিনে ছিলেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার অস্ত্র আইনে অভিযুক্ত দিলীপবাবু ও বিজেপি’র যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তুষারকান্তি ঘোষ ঝাড়গ্রাম এসিজেএম (১) আদালতে অনিরুদ্ধ সাহার এজলাসে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন। দশ হাজার টাকার বন্ডে তাঁদের দু’জনকে শর্তাধীন জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।

Advertisement

জামিন পেলে হাইকার্টের শর্ত অনুযায়ী আগামী ছ’মাস কোনও ভাবে ঝাড়গ্রাম থানা এলাকায় দিলীপবাবু, তুষারবাবুরা আসতে পারবেন না। তদন্তের কাজে তদন্তকারী অফিসার ডাকলে তাঁর কাছে হাজিরা দিতে হবে। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম আদালতে বিজেপি’র জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী-সহ প্রায় কয়েকশো নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

গত বছর ১২ ডিসেম্বর বিজেপি’র প্রাক্তন ঝাড়গ্রাম জেলা যুব সভাপতি সুমন সাহু পুলিশে অভিযোগ করেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁকে অস্ত্র নিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে অস্ত্র আইনে তাঁদের দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। ওই মামলায় গত ১ মার্চ দিলীপবাবু ও তুষারবাবুর শর্তাধীন আগাম জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী দীপঙ্কর ধর দাবি করেন, ‘‘মিথ্যা মামলায় তাঁর মক্কেলদের ফাঁসানোর চক্রান্ত হয়েছে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: পায়ে হেঁটে, গাড়ি নিয়ে অনুসরণ করছে, প্রাণের ভয় পাচ্ছি, সিবিআইকে চিঠি ম্যাথুর

নারদ কাণ্ড নিয়েও সরব হন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, ‘‘মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের পর উনি উল্টো মন্তব্য করেছিলেন। এখন বাধ্য হয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। তা না হলে আরও দুর্গতি হবে।’’ দিলীপবাবুর কথায়, ‘‘ নারদ কাণ্ডে প্রথমে থেকেই সিবিআই তদন্ত দাবি করে আসছি। হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট আমাদের দাবি মেনে রায় দিয়েছে। আমি আরও অনেক কিছু জানি, যদি সেগুলো বলি তবে দিদি বলবেন দিলীপ ঘোষ আগে থেকেই জানে।’’ পরক্ষণেই তাঁর সংযোজন, ‘‘ওঁর দলের এমএলএ, এমপি, মন্ত্রীরা জেলে যাবেন, এটা সবাই জানে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন