তাঁর স্বামীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে বিধায়ক তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আগেই সরব হয়েছেন শ্রীনু নায়ডুর স্ত্রী পূজা। দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে মামলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি অবশ্য তাতে পাল্টা অসন্তোষ প্রকাশের পথে হাঁটলেন না। বরং, কৌশলে পূজার প্রতি সমবেদনাই জানালেন। সেই সঙ্গে বললেন, ‘‘ওঁর একটি ছেলে রয়েছে। ওঁদের পরিবারের ভবিষ্যৎ আছে। শ্রীনু রেলে চাকরি করত। পূজাকে চাকরি দেওয়ার জন্য রেলের কাছে আমি দাবি জানাব।’’ দিলীপবাবুর এই বক্তব্যে অবশ্য রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে শাসক তৃণমূল।
খড়্গপুর শহরের তিনটি জায়গায় বুধবার সভা করার কথা ছিল দিলীপবাবুর। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না মেলায় শেষ পর্যন্ত এ দিন জনসংযোগ যাত্রা করেন বিধায়ক। খড়্গপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডেও যান। যেখানকার কাউন্সিলর পূজা। তবে শ্রীনু যেখানে খুন হয়, সেখানে দিলীপবাবু যাননি। পূজার সঙ্গেও দেখা করেননি। তবে প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘প্রয়োজনে পরে পূজার সঙ্গে দেখা করব।’’ এ বিষয়ে পূজার প্রতিক্রিয়া, “উনি বিধায়ক। আমাদের জন্য সত্যিই দুঃখ হলে উনি নিশ্চয় আসবেন। সমবেদনা জানাতে চাইলেও আমাদের বাড়িতে উনি আসতে পারেন।”
তৃণমূল অবশ্য মনে করছে, রাজনৈতিক স্বার্থেই দিলীপবাবু পূজার চাকরির প্রসঙ্গ তুলেছেন। খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “শ্রীনু রেলে চাকরি করত। স্বাভাবিক নিয়মেই পূজা রেলে চাকরি পাবেন। এ জন্য দিলীপ ঘোষের সুপারিশের প্রয়োজন নেই।’’ দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে এ দিন খড়্গপুর টাউন থানায় অভিযোগও করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, দিলীপবাবুর উস্কানিমূলক মন্তব্যে আশঙ্কিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে।