নজরে: পিনটেল ভিলেজে জুহি চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র
শিশু পাচার কাণ্ডে জুহি চৌধুরী গ্রেফতারের পর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে জলপাইগুড়ি জেলা নেতাদের একাংশের৷ তাঁদের অভিযোগ, উত্তরের নেতাদের উপেক্ষা করে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নানা সময়ে নানা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যার জেরে এমন অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে বিজেপিকে৷ আর এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির জন্য সবচেয়ে বেশি খেসারত দিতে হচ্ছে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপিকে৷
জেলা বিজেপি নেতাদের একাংশের অভিযোগ, গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মধ্যে বিজেপির সবচেয়ে বেশি ভোট ছিল উত্তরবঙ্গে৷ অথচ, এখানকার নেতা-কর্মীদের কথায় কান দেওয়া বা পরামর্শ করার প্রয়োজন বোধ করেন না রাজ্য নেতারা, অভিযোগ ওই নেতাদের। বিজেপির এক জেলা নেতা একান্তে বলেন, জুহিকে মহিলা মোর্চার পদ দেওয়ার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে।
এই নেতা বা আরও কয়েক জন প্রবীণ নেতার বক্তব্য, ‘‘কিন্তু আমরা যদি অন্য কোনও পরামর্শ দিই বা দাবি তুলি, তাতে কান দেননি ওঁরা।’’ কীরকম? তাঁরা বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গেই এ বার বিজেপি সব থেকে ভাল ফল করেছে। আমরা চাইছিলাম, উত্তরবঙ্গ থেকেই কাউকে রাজ্যসভায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক। কিন্তু সেই অনুরোধেও কেউ সাড়া দেননি।’’
শুধু প্রবীণেরাই নন, জেলার একাধিক তরুণ নেতাও জানান, তাঁরা সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং রাজ্য কমিটির কয়েক জন নেতার ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শিলিগুড়িতে বিজেপির এক যুব নেতা জানান, তাঁরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার কাছেও সব জানিয়েছেন। ওই নেতা জানান, দলের পক্ষ থেকে একই বিষয়ে ঘনঘন অবস্থান বদলানো হচ্ছে কেন, সেটাও স্পষ্ট হওয়া জরুরি।
এই সব ক্ষোভের কথা এর মধ্যেই তাঁরা রাজ্য দফতরে ফোন করে জানিয়েছেন। প্রয়োজনে আগামীতে রাজ্য কমিটির বৈঠকে বিষয়টি তোলার কথাও ভাবছেন কেউ কেউ। যদিও দলের অন্দরে তৈরি হওয়া এমন ক্ষোভের কথা প্রকাশ্যে অবশ্য মানছেন না দলের জেলা নেতারা৷ বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি দ্বীপেন প্রামাণিক বলেন, ‘‘এটুকু বলতে পারি, আমাদের দলের ভেতরে রাজ্য নেতাদের নিয়ে কারও মনে কোন ক্ষোভ নেই৷’’