GTA Teacher Recruitment Case

পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ধাক্কা রাজ্যের, সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চে

জিটিএ আওতাভুক্ত এলাকায় শিক্ষক নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র বেশ কিছু অভিযোগে সিবিআইকে অনুসন্ধান করে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চ। সেই নির্দেশ বহাল থাকল ডিভিশন বেঞ্চেও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৪৯
Share:

কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগে ‘দুর্নীতি’র মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রাখল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানি শেষে রায়ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়েছিল। শুক্রবার সকালে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ।

Advertisement

জিটিএ আওতাভুক্ত এলাকায় শিক্ষক নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র বেশ কিছু অভিযোগে সিবিআইকে অনুসন্ধান করে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর সিঙ্গল বেঞ্চ। ২৫ এপ্রিল এই সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে দিতে বলা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই উচ্চতর বেঞ্চে যায় রাজ্য। কিন্তু সেখানেও ধাক্কা খেতে হল রাজ্য সরকারকে। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত সিবিআই জিটিএ নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র অভিযোগগুলির বিষয়ে প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান করে দেখবে। এই সংক্রান্ত দু’টি বেনামি চিঠি জমা পড়েছিল আদালতে। তা খতিয়ে দেখবেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা। তবে মামলার মূল তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে রাজ্য পুলিশ। ২৫ তারিখেই সিঙ্গল বেঞ্চে অনুসন্ধানের রিপোর্ট দেবে সিবিআই।

বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত সওয়াল করেন। তিনি জানান, গত ৯ এপ্রিল যে দু’টি বেনামি চিঠি আদালতে জমা পড়েছে, তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সেগুলির প্রেরকের ঠিকানা হিসাবে রয়েছে কেওড়াতলা মহাশ্মশান। তিনি আদালতে আরও জানান, জিটিএ-র আওতায় কিছু স্কুলে কিছু স্বেচ্ছাসেবী (ভলান্টিয়ার) শিক্ষক আছেন। রাজ্য দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের জন্য এফআইআর করেছে। তদন্ত করার জন্য আদালতে সময় চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিচারপতি বসু সেই সময় দেননি। মামলার মূল আবেদনকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য পাল্টা দাবি করেন, এই দুর্নীতির অভিযোগে প্রথমে রাজ্য কোনও গুরুত্ব দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করায় রাজ্য এফআইআর করে।

Advertisement

উল্লেখ্য, জিটিএ মামলাতেই কিছু দিন আগে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের অভিযোগের ভিত্তিতে বিধাননগর উত্তর থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেখানে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জিটিএ নেতা বিনয় তামাং, তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য-সহ একাধিক নাম রয়েছে। সেই মামলাতেই সিবিআই অনুসন্ধান বহাল রাখল আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement