প্রতীকী ছবি।
দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে দেখে দ্রুত অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। কিন্তু অস্ত্রোপচার শুরু করার আগেই মারা যান ওই যুবক। তাঁর পরিজনদের দাবি, চিকিৎসকরা দেরি করাতেই ওই যুবক মারা গিয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালের ওই দুই চিকিৎসককেই মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে দার্জিলিং হাসপাতালে এই ঘটনার পরে রবিবার শহরের চিকিৎসকরা ঘণ্টা দুয়েক রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পরে প্রশাসন যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দেওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। হাসপাতালেও স্বাভাবিক ভাবে কাজ হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, দেরির অভিযোগ ঠিক নয়। তাঁরা জানিয়েছেন, জখম যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসার দশ মিনিটের মধ্যে তাঁকে অস্ত্রোপচারের ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। মোটেই দেরি করা হয়নি। চিকিৎসকরাও দেরি করেননি। চিকিৎসকের উপরে হামলার ঘটনায় তিন জনকে চিহ্নিতও করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ওই যুবকের পরিজনদের অবশ্য পাল্টা দাবি, আরও আগে অস্ত্রোপচার শুরু করা যেত। ওই যুবকের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে গিয়েছিল।
জেলা প্রশাসন আজ, সোমবার চিকিৎসক সহ হাসপাতালের কর্মী-আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করবে বলে জানিয়েছে।