Burdwan Medical College and Hospital

‘আগেই হতে পারত সৌমির চিকিৎসা’

বিএমসিএইচ কর্তৃপক্ষের দাবি, ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে জরুরি বিভাগে এক জুনিয়র ডাক্তার সৌমিকে দেখেন।

Advertisement

সৌমেন দত্ত

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৩৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

বুকে যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হতে আসা অন্তঃসত্ত্বার চিকিৎসা হতে পারত প্রসূতি বিভাগে—তদন্তে এমন মত উঠে এসেছে বলে জানালেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ (বিএমসিএইচ) কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের দু’সদস্যের তদন্ত কমিটি এক জুনিয়র ডাক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে। সুপার প্রবীর সেনগুপ্ত বুধবার বলেন, ‘‘হাসপাতালে চিকিৎসা হলে হয়তো দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটত না।’’

Advertisement

পূর্ব বর্ধমানের মেমারির প্রণব ঘোষ মেমারি থানা এবং বিএমসিএইচ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছেন, তাঁর মেয়ে সৌমি ঘোষ (২৬) প্রায় সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ১০ সেপ্টেম্বর রাত থেকে ১১ সেপ্টেম্বর সকাল পর্যন্ত অন্তত চারটি হাসপাতাল ও একাধিক নার্সিংহোমে নিয়ে গেলেও কেউ ভর্তি নেয়নি। বিএমসিএইচ-এ নিয়ে গেলে এক জুনিয়র ডাক্তার ‘ভাল হাসপাতালে’ নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। জেলাশাসক বিজয় ভারতীর উদ্যোগে সেখানে ভর্তি করানো হলেও কিছু ক্ষণের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়।

বিএমসিএইচ কর্তৃপক্ষের দাবি, ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে জরুরি বিভাগে এক জুনিয়র ডাক্তার সৌমিকে দেখেন। তিনি মেডিক্যাল অফিসারকে কিছু জানাননি। তবে সৌমিকে প্রসূতি বিভাগে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে দীর্ঘক্ষণ থাকার পরে, চিকিৎসকের দেখা পায় পরিবার। করোনা-উপসর্গ থাকায় সৌমিকে ‘সারি’ ওয়ার্ডে নিয়ে যেতে বলা হয়। সে সময় প্রণববাবুরা ফের জরুরি বিভাগে গেলে ওই জুনিয়র ডাক্তার দুর্বব্যহার করেন বলে অভিযোগ। কর্তৃপক্ষের মতে, প্রসূতি বিভাগে রোগিণীর চিকিৎসা শুরু করা যেতে পারত। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল করে, মেডিসিন বিভাগেও পাঠানো যেত। সুপারের দাবি, ‘‘ওই জুনিয়র ডাক্তার অভিযোগ স্বীকার করেননি। প্রসূতি বিভাগ থেকে রোগিণীকে ‘সারি’ ওয়ার্ডে ভর্তি করাতে বলা হয়। পরিবার তা না করে অন্যত্র নিয়ে যায়।’’ প্রণববাবুর বক্তব্য, ‘‘সিসিটিভি ফুটেজ থেকেই সব বেরিয়ে আসবে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন