Medical Education

বাংলা ভাষায় ডাক্তারি নয়, মত ডাক্তারদের

শিক্ষা মন্ত্রকের তৈরি কমিটি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন-সহ বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ, মেডিক্যাল শিক্ষার শিক্ষকদের সঙ্গে হিন্দি এবং আঞ্চলিক ভাষায় পাঠ্যক্রম তৈরির নিয়ে আলোচনাও করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২২ ০৬:৪০
Share:

আঞ্চলিক ভাষায় ডাক্তারি পড়াতে উদ্যোগী কেন্দ্র। প্রতীকী ছবি

রাত পেরোলেই মধ্যপ্রদেশে হিন্দিতে লেখা ডাক্তারির বই প্রকাশিত হবে। কিন্তু আঞ্চলিক ভাষায় আদৌ ডাক্তারি পড়া সম্ভব কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। বিরোধিতা করেছেন চিকিৎসকদের অনেকেই। তাঁদের মতে, বইয়ের ভাষা বদলাতে গেলে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।

Advertisement

আঞ্চলিক ভাষায় ডাক্তারি পড়াতে উদ্যোগী কেন্দ্র। শিক্ষা মন্ত্রকের তৈরি কমিটি এ ব্যাপারে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন-সহ বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ, মেডিক্যাল শিক্ষার শিক্ষকদের সঙ্গে হিন্দি এবং আঞ্চলিক ভাষায় পাঠ্যক্রম তৈরির বিষয়ে আলোচনাও শুরু করেছেন। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশে ডাক্তারির প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য হিন্দিতে বই লেখাও হয়ে গিয়েছে। আজ, রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সেই বই প্রকাশ করার কথা। শনিবার ইউজিসি-র চেয়ারম্যান মামিদালা জগদেশ কুমার টুইট করে জানিয়েছেন, জাতীয় শিক্ষা নীতিকে অনুসরণ করে ভারতীয় ভাষায় ডাক্তারির বই লেখা উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

আদৌ কি তাই?

Advertisement

এসএসকেএম হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগের প্রধান গোপালকৃষ্ণ ঢালি শনিবার বলেন, ‘‘বৈজ্ঞানিক অনেক শব্দেরই বাংলা প্রতিশব্দ জানা নেই। চিকিৎসা শাস্ত্রের অনেক শব্দেরই বাংলা করা যায় না। তাই বাংলা ভাষায় চিকিৎসা শাস্ত্রের পাঠ্যক্রম করাটা সহজ নয়। বরং তাতে ডাক্তারি পড়ুয়াদের শিক্ষা দেওয়া সমস্যা হবে।’’ গোপালকৃষ্ণের বক্তব্য, এমবিবিএস পাশ করার পরে উচ্চশিক্ষার জন্য অনেকেই বিদেশে যান। তখন তো আরও সমস্যা হবে।

অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টর্স-র সাধারণ সম্পাদক তথা সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক-চিকিৎসক মানস গুমটার কথায়, ‘‘পড়ুয়া যে রাজ্যে ডাক্তারি পড়েন, হাতেকলমে প্রশিক্ষণের জন্য তাঁকে স্থানীয় ভাষা শিখতেই হয়। না-হলে রোগীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে পারবে না। প্রশিক্ষণও অপূর্ণ থাকবে। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে পাঠ্যক্রমের বই আঞ্চলিক ভাষায় অনুবাদ করতে হবে।’’ তিনি জানান, ডাক্তারি পাঠ্যক্রমে একটি মূল বই থাকে না। অসংখ্য রেফারেন্স বই পড়তে হয়। সব অনুবাদ করতে গেলে বিপজ্জনক পরিস্থিতি হবে। এসএসকেএমের শল্য বিভাগের শিক্ষক-চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার বলেন, ‘‘এর আগেও রাজ্যে আঞ্চলিক ভাষায় চিকিৎসা শাস্ত্রের পাঠ্যক্রম চালু করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তা মারাত্মক ভাবে ব্যর্থ হয়েছিল। উল্টে অনেক পড়ুয়া পরবর্তী সময়ে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক স্তরে ইংরেজি ভাষায় নিজেদের উপস্থাপন করতে সমস্যায় পড়েছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement