DYFI

কাজের দাবি নিয়ে যাত্রা মীনাক্ষীদের, চর্চায় সিঙ্গুরও

চাকরি-প্রার্থীদের পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিকদেরও ওই সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ডিওয়াইএফআই। সংগঠনের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা দিবসে, আগামী ৩ নভেম্বর কোচবিহার থেকে শুরু হবে ‘ইনসাফ যাত্রা’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৩ ০৭:৩২
Share:

মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যে শিল্পায়ন এবং সকলের জন্য কাজের দাবি নিয়ে শুরু হতে চলেছে সিপিএমের যুব সংগঠনের ‘ইনসাফ যাত্রা’। রাজ্য জুড়ে সেই যাত্রা শেষে আগামী ৭ জানুয়ারি ব্রিগেডে সমাবেশ হওয়ার কথা। চাকরি-প্রার্থীদের পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিকদেরও ওই সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ডিওয়াইএফআই। সংগঠনের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা দিবসে, আগামী ৩ নভেম্বর কোচবিহার থেকে শুরু হবে ‘ইনসাফ যাত্রা’।

Advertisement

দীনেশ মজুমদার ভবনে মঙ্গলবার ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কাজ এবং শিক্ষা-সহ সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের সমস্যাকে সামনে রেখে তাঁদের ওই যাত্রা হবে। এই সূত্রেই সিঙ্গুরে বাতিল হওয়া গাড়ি কারখানার জন্য টাটা মোটর্সকে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমকে যে নির্দেশ আরবিট্রারি ট্রাইব্যুনাল দিয়েছে, সেই প্রসঙ্গ এসেছিল। এই প্রসঙ্গে মীনাক্ষী বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটা করে সিঙ্গুরের চাষিদের জমি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কিন্তু সেই জমির চরিত্র কী? তার কোনও উত্তর নেই। টাটাদের কারখানা হলে রাজ্যের বেকার ছেলে-মেয়েরা চাকরি পেতেন। একটা শিল্পকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়ে আরও অনেক শিল্প তৈরি হতো, সেই সব তিনি শেষ করে দিয়েছেন। প্রশিক্ষণ নেওয়া ছেলে-মেয়েগুলো আজ একটা সাধারণ চাকরি করছে। ভাল ভাল ছেলে-মেয়েরা রাজ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই এর দায় তো ওঁকেই নিতে হবে।’’ ডিওয়াইএফআই নেতৃত্ব জানিয়েছেন, রাজ্যে তাঁদের চার হাজার ইউনিটের তরফে বাড়ি বাড়ি কৌটো দিয়ে আসা হবে এবং এক মাস পরে তা ফেরত নিয়ে আসা হবে। মানুষের কাছ থেকে তোলা অর্থেই ব্রিগেড সমাবেশ হবে। প্রসঙ্গত, সিঙ্গুরের যে জমি অধিগ্রহণকে ‘অবৈধ’ বলে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট, সেই সিঙ্গুরের জন্যই টাটা সংস্থাকে কেন ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, সেই প্রশ্ন তুলে এবং ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের বিরোধিতা করে বিবৃতি দিয়েছেন সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য এবং এসইউসি-র রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য। দীপঙ্করের মতে, এই নির্দেশ পশ্চিমবঙ্গের মানুষের প্রতি ‘নিষ্ঠুর অবিচার’। আর চণ্ডীদাসের মত, টাটাদের কাজ ‘কৃষক স্বার্থ-বিরোধী’ ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন