ব্যাঙ্কে ১০ লাখ পড়লেই নির্বাচন কমিশনের নজরে 

এক লপ্তে ১০ লক্ষ টাকা জমা পড়লেই নির্বাচন কমিশনের নজরদারিতে চলে আসবে সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। ভোট ঘোষণার পরে কমিশন জেলাশাসকদের এমনই নির্দেশ পাঠিয়ে ব্যাঙ্কগুলিতে সতর্ক করে দিতে বলেছে।

Advertisement

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় 

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৯ ০২:১৯
Share:

এক লপ্তে ১০ লক্ষ টাকা জমা পড়লেই নির্বাচন কমিশনের নজরদারিতে চলে আসবে সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। ভোট ঘোষণার পরে কমিশন জেলাশাসকদের এমনই নির্দেশ পাঠিয়ে ব্যাঙ্কগুলিতে সতর্ক করে দিতে বলেছে। এ ছাড়াও মদ-বন্দুকের লাইসেন্স নিয়ন্ত্রণ, সরকারি ওয়েবসাইট থেকে নেতা-মন্ত্রীদের ছবি সরানো বা জেলা ধরে ধরে সুষ্ঠ ভোট পরিচালনা করার বাধা বিপত্তি কী কী, তা সাত দিনের মধ্যে কমিশনকে জানাতে হবে জেলাশাসকদের।

Advertisement

নির্বাচন ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জেলাশাসকদের কী কী কাজ করতে হবে সে সম্পর্কে ২৩ দফা নির্দেশ পাঠিয়েছে নির্বাচন সদন। কমিশনের এক কর্তার বক্তব্য, ‘‘নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আনতেই জেলাশাসকদের এই সব নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে।’’ সোমবার সকাল থেকে তা বাস্তবায়িত করতে জেলাশাসকরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বলে নবান্ন সূত্রের খবর।

কমিশন সূত্রের খবর, জেলাশাসকদের ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করতে হবে। কোনও অ্যাকাউন্টে ১০ লাখ টাকা জমা পড়লেই তা কমিশনের নজরদারিতে চলে যাবে। ইচ্ছুক প্রার্থীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য অগ্রাধিকার দিতে হবে। সেই সঙ্গে এটিএম ভ্যানে নগদ নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও বিশেষ নজরদারি চালু হচ্ছে।

Advertisement

কমিশনের নির্দেশে জেলাশাসকেরা বন্দুকের লাইসেন্স নিয়েও কড়াকড়ি শুরু করেছেন। এখন লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুকও বাইরে বের করা যাবে না। কোনও রকম বন্দুকের লাইসেন্স আপাতত দেওয়া যাবে না। লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুকধারীদের কেউ জামিনে মুক্ত থাকলে, তাঁর অপরাধের ইতিহাস থাকলে বা আগে কখনও দাঙ্গায় জড়িয়ে থাকলে তাঁদের থেকে বন্দুক বাজেয়াপ্ত করতে বলেছে কমিশন।

আরও পড়ুন: চেনা মুখই কি ভরসা তৃণমূলের, মমতার বাড়িতে আজ দলের নির্বাচনী কমিটির বৈঠক

এ ছাড়া। মদ বিক্রির উপর নজরদারি, নতুন লাইসেন্স দেওয়ার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কমিশন জেলাশাসকদের বলেছে, সাত দিনের মধ্যে প্রতিটি জেলায় ভোটের সময় অশান্তির কারণ হতে পারে এমন বিষয়গুলি জানাতে হবে। বিশেষ করে কোন কোন নেতা-মন্ত্রী-গুণ্ডাদের দাপটে ভোটে অশান্তি হতে পারে তা-ও ডিএম’দের জানাতে হবে।

ভোট ঘোষণার আগে কোন কোন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে, আর কোন প্রকল্পগুলির কাজ শুরু হয়নি তারও তালিকা জেলাশাসকরা সংগ্রহ করে কমিশনে পাঠাবেন। সমস্ত সরকারি দেওয়াল, ওয়েবসাইট, ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড বা ডিসপ্লে থেকে নেতা-মন্ত্রীদের নাম-ছবি সরিয়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গে ভোটের নামে কোন নেতা কী ভাবে খরচ করছেন, তা-ও জেলাশাসকেরা নজরদারিতে নিয়ে আসছেন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের নির্দেশগুচ্ছ কার্যকর করে নির্বাচন সদনে রিপোর্ট পাঠাবে কমিশন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন