মিঠুন হোটেলে শুনেই হাজির ইডি

মুম্বইয়ে এক বার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বারবার ডাক পাঠানো সত্ত্বেও কলকাতায় ওই তদন্ত সংস্থার কাছে যাননি অভিনেতা-সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী। অবশেষে বৃহস্পতিবার মহানগরীর এক হোটেলে মিঠুনেরই কাছে পৌঁছে গেল ইডি। এ দিনের জিজ্ঞাসাবাদে কোন কোন প্রশ্ন উঠেছিল এবং মিঠুন তার কী জবাব দিলেন, তার সবিস্তার বিবরণ মেলেনি। তবে এটুকু জানা গিয়েছে যে, রাজ্যসভার তৃণমূল সদস্য মিঠুন এ বার লিখিত ভাবে নিজের মতামত জানিয়েছেন ইডি-কে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৫ ০৩:১২
Share:

মুম্বইয়ে এক বার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বারবার ডাক পাঠানো সত্ত্বেও কলকাতায় ওই তদন্ত সংস্থার কাছে যাননি অভিনেতা-সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী। অবশেষে বৃহস্পতিবার মহানগরীর এক হোটেলে মিঠুনেরই কাছে পৌঁছে গেল ইডি।

Advertisement

এ দিনের জিজ্ঞাসাবাদে কোন কোন প্রশ্ন উঠেছিল এবং মিঠুন তার কী জবাব দিলেন, তার সবিস্তার বিবরণ মেলেনি। তবে এটুকু জানা গিয়েছে যে, রাজ্যসভার তৃণমূল সদস্য মিঠুন এ বার লিখিত ভাবে নিজের মতামত জানিয়েছেন ইডি-কে।

সারদা গোষ্ঠীর টাকা কারা কারা নিয়েছেন, তার তদন্তে উঠে আসে মিঠুনের নাম। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, মিঠুন সারদার একটি চ্যানেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন। সেই জন্য টাকাও নিতেন। মুম্বই ও অন্যত্র ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে তিনি কয়েক বার ইডি-র তলব এড়িয়েছেন। পরে মুম্বইয়ে এক বার ওই তদন্ত সংস্থার কাছে যান। কিন্তু কলকাতায় ইডি তাঁর নাগাল পাচ্ছিল না।

Advertisement

ইডি সূত্রের খবর, বিকেলে শহরে পৌঁছে রাজারহাটের একটি হোটেলে ওঠেন মিঠুন। ইডি-র কাছে সেই খবর পৌঁছে যায়। তড়িঘড়ি ইডি হাজির হয় ওই হোটেলে। সেখানেই ইডি-র অফিসারদের সঙ্গে কিছু ক্ষণ কথা হয় ওই অভিনেতার। তার পরে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন ওই সাংসদ।

এ দিনই সারদা মামলায় সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায় এবং কুণাল ঘোষের আইনজীবী বিচার ভবনে বিচারক অরবিন্দ মিশ্রের এজলাসে দাবি করেন, সিবিআইয়ের চার্জশিটে প্রয়োগ করা ধারা অনুযায়ী সারদা ট্যুর ও ট্রাভেলসের মামলা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে চলতে পারে না। মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসেই তার শুনানি হওয়ার কথা। বিচারক ২০ মে-র মধ্যে এই বিষয়ে যৌথ আবেদন পেশ
করতে বলেন। জামিনের আবেদন খারিজ করে সুদীপ্ত, দেবযানী ও কুণালকে ২৮ মে পর্যন্ত জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

সারদা তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে লগ্নি সংস্থা এমপিএসের সম্পত্তির তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে। সিবিআই, ইডি, বিধাননগর পুলিশ, হাইকোর্টের নিযুক্ত স্পেশ্যাল অফিসারেরা এ দিন লেক টাউনে এমপিএসের অফিসে যান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন