রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু
অর্থ লগ্নি সংস্থা রোজ ভ্যালির প্রকাশনা সংস্থার তদন্তে এ বার নড়েচড়ে বসল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। রোজ ভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু গ্রেফতার হওয়ার পরেও কী ভাবে ওই প্রকাশনা সংস্থা এখনও চালু রয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলছেন ইডি-র তদন্তকারীরা।
আদালতের অনুমতি নিয়ে ইডি-র তদন্তকারীরা সম্প্রতি জেলে গিয়ে গৌতমকে জেরা করেন। ওই তদন্ত সংস্থা সূত্রের খবর, সেই জেরার সময়ে গৌতম নিজেই তাঁর প্রকাশনা সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তের আর্জি জানান। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছেন, রোজ ভ্যালির তরফে ওই প্রকাশনা সংস্থায় প্রায় ৭৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল। রোজ ভ্যালির মালিকের ক্ষোভ, তাঁর টাকায় ওই সংস্থা চললেও তিনি জেলের বাইরে থাকাকালীনই তাঁর হাত থেকে প্রকাশনা সংক্রান্ত সমস্ত ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। ইডি ইতিমধ্যে রোজ ভ্যালির প্রায় হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করলেও ওই প্রকাশনা সংস্থার বিষয়ে তদন্তে কোনও অগ্রগতি নেই বলেও ঘনিষ্ঠ মহলে অভিযোগ তুলেছেন গৌতম।
সম্প্রতি ন্যাশনালিস্ট তৃণমূল কংগ্রেসের তরফেও ওই প্রকাশনা সংস্থার বিষয়ে ইডি ও সিবিআইয়ের কাছে তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে লিখিত ভাবে। ন্যাশনালিস্ট তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অমিতাভ মজুমদার বলেন, ‘‘একটি বন্ধ হয়ে যাওয়া অর্থ লগ্নি সংস্থার মালিক-সহ বেশ কয়েক জন কর্তা সিবিআই ও ইডি-র মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন। সে-ক্ষেত্রে রোজ ভ্যালির অধীন ওই প্রকাশনা সংস্থা কী ভাবে চালু আছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে।’’
ইডির এক কর্তা জানান, অমিতাভবাবুকে ডেকে এ বিষয়ে সবিস্তার তথ্য জানার চেষ্টা করা হবে।
গৌতমের আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী বলেন, ‘‘রোজ ভ্যালির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার অধীন সব সংস্থার বিষয়ে তদন্ত করা হয়েছে। প্রকাশনা সংস্থার বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া উচিত। গৌতমবাবুও এই বিষয়ে একাধিক বার তদন্তকারীদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।’’
ইডি-র আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র জানান, ওই প্রকাশনা সংস্থার বিষয়ে সবিস্তার তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে।’’