ফাইল চিত্র।
বিগত দশ বছরে বর্তমান পাঠ্যক্রম কতটা সফল হয়েছে এবং পড়ুয়াদের পক্ষে তা কতটা উপযোগী, ১৩০০ স্কুলে একটি সমীক্ষা করবে শিক্ষা দফতর। শুক্রবার বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে নতুন পাঠ্যক্রম কমিটির প্রথম বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাঠ্যক্রম কমিটির সদস্যেরা জানান, প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যক্রমের পর্যবেক্ষণ চলবে।
এ দিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, সব বিষয়ের মেন্টরেরা পাঠ্যবইগুলি খুঁটিয়ে পড়ে সেই বিষয়ে পর্যালোচনা করে রিপোর্ট দেবেন পাঠ্যক্রম কমিটির পরবর্তী বৈঠকে। ওই কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার বলেন, ‘‘পর্যালোচনার জন্য মেন্টরেরা সময় চেয়েছেন। ২ জুন সিলেবাস কমিটির পরের বৈঠকে তাঁরা প্রস্তাব দেবেন। তা নিয়ে বোর্ডের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আবার বৈঠক হবে।’’
অভীকবাবু জানান, শিক্ষামন্ত্রীর মতে, শুধু মেন্টর বা পাঠ্যক্রম কমিটির সদস্য নয়, বিভিন্ন জেলার শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও মতামত নিতে হবে। যাঁরা ওই বইগুলি পড়ান, তাঁদের থেকে জানতে হবে, কোন বইয়ের কোথায় ঘাটতি এবং কোথায় উন্নতির প্রয়োজন। মত নেওয়া হবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও। কোন কোন শ্রেণির পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আসবে, তার পরেই ঠিক করা হবে।
অভীকবাবু জানান, পাঠ্যক্রম স্কুলে ঠিকমতো প্রযোজ্য হচ্ছে কি না, সেটারও পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন বলে মনে করেন ব্রাত্যবাবু। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, অনলাইন বা ডিজিটাল মাধ্যমের শিক্ষার ক্ষেত্র কোথায় কতটা কী আছে, তা-ও দেখতে হবে।
২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের সূত্রে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে নতুন পাঠ্যক্রম কমিটি গড়া হয়েছিল। তখন সেই কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন শিক্ষাবিদ সুনন্দ সান্যাল। তিনি পদত্যাগ করার পরে অভীকবাবু কমিটি-প্রধানের দায়িত্ব পান। তখন প্রাক্-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত পাঠ্যক্রম তৈরি হয়েছিল। অভীকবাবুর বক্তব্য, পাঁচ-ছ’বছর অন্তর পাঠ্যক্রম পর্যালোচনা করা দরকার।