—ফাইল চিত্র।
আসন্ন লোকসভা ভোট সম্পর্কে নানা ‘ভুয়ো তথ্য’ আসতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তা নিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দিল্লির স্পেশ্যাল এবং টেকনোলজি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্পেশ্যাল পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতর।
লোকসভা ভোট কোন রাজ্যে কবে ক’দফায় হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট গত ডিসেম্বর মাস থেকেই ঘুরতে শুরু করেছে ফেসবুক, হোয়াটস্ অ্যাপে। সম্প্রতি আরও বিস্তারিত একটি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় এসেছে। যাতে রীতিমতো তারিখ উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, কোন রাজ্যে কবে ভোট। সেই পোস্ট অনুসারে পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে এপ্রিল-মে মাসে ৭ দফায়। সেই পোস্ট হাতে পেয়ে অনেকেই ফরোয়ার্ড করছেন। ফলে তা বহু মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে গিয়েছে। অথচ, এই খবরের কোনও ভিত্তিই নেই বলে জানাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তাদের বক্তব্য, এই ধরনের পোস্ট জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে কারা এই ‘ভুয়ো খবরের’ ছড়াচ্ছেন, তা চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির সিইও দফতর। কী ব্যবস্থা নেওয়া হল তা-ও সিইও দফতরকে জানাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, ওয়াকিবহাল করতে বলা হয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকেও।
কেন এই উদ্যোগ। কমিশন সূত্রে বলা হচ্ছে, ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে কোনও বিভ্রান্তি তৈরি হয়ে আদতে নির্বাচন কমিশনেরই ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। সেই কারণে রাজ্যগুলির সিইও দফতরের তরফে বলা হয়েছে, কমিশনের ওয়েবসাইটেই নির্বাচনের দিনক্ষণ সম্বন্ধীয় তথ্য থাকে। সেই তথ্যের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য না-মিললে সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য ‘ভুয়ো’ বলে গণ্য করতে হবে।
আসন্ন লোকসভা ভোটের কোনও দিনক্ষণ কমিশন এখনও ঘোষণা করেনি। ফলে তা কমিশনের ওয়েবসাইটেও নেই। অতএব এ সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সব পোস্ট ঘুরছে, তার সবই ভুয়ো।
ভোট পর্বে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভুয়ো খবর’ ঠেকানোর জন্য ইতিমধ্যেই গুগল, ফেসবুকের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে কমিশন। কিন্তু এখনই ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে যে ভাবে ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে, তাতে কমিশনের মাথাব্যথা আরও বেড়েছে। কমিশনের কর্তারা জানাচ্ছেন, এ বিষয়ে নজরদারি করার জন্য বিভিন্ন রাজ্যে সিইও দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।