কমিশনের নির্দেশে রদবদল প্রশাসনে

লোকসভা ভোট কার্যত শিয়রে। দিন ঘোষণা না-হলেও ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারই অঙ্গ হিসেবে গোটা দেশে ভোটের কাজে যুক্ত থাকা অফিসারদের রদবদলের নির্দেশ জারি করেছে তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৫২
Share:

লোকসভা ভোট কার্যত শিয়রে। দিন ঘোষণা না-হলেও ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারই অঙ্গ হিসেবে গোটা দেশে ভোটের কাজে যুক্ত থাকা অফিসারদের রদবদলের নির্দেশ জারি করেছে তারা। ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, নিজের জেলায় অথবা গত চার বছরের মধ্যে তিন বছর একই জেলায় কাজ করা প্রশাসনিক কর্তা ও পুলিশ অফিসারদের অন্যত্র বদলি করতে হবে। ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে।

Advertisement

কমিশনের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট অফিসারদের বদলি করার পাশাপাশি অতীতের কোনও ভোটে কমিশন যে সব অফিসারকে সরিয়ে দিয়েছিল, তাদেরও বদলি করার কথা ভাবছে নবান্ন। কারণ, নির্বাচন কমিশন ভোটের মুখে ওই অফিসারদের সরিয়ে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

নবান্নের এক কর্তা এ দিন জানান, নিজের জেলা বা তিন বছর একই জেলায় কাজ করা অফিসারদের অধিকাংশকেই ইতিমধ্যেই সরানো হয়েছে। বিডিও ও থানার আইসি’দের অনেকেই নতুন জায়গায় যোগ দিয়েছেন। বাকিদের সরানোর কাজ চলছে। এর পর অতীতে কমিশনের সরিয়ে দেওয়া অফিসারদের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হবে।

Advertisement

এটা ঠিক যে ওই সব অফিসারদের এ বার সরানোর কোনও নির্দেশ কমিশন দেয়নি। কমিশনের এক কর্তার কথায়, ‘‘অতীতে যে সব অফিসারকে কমিশন শাস্তি দিয়েছে, শুধু তাঁদেরই পরবর্তী নির্বাচনের সময় ভোটের দায়িত্ব থেকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই সব অফিসারের বিরুদ্ধে কমিশন কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি। তাঁদের শুধু নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’’

যদিও নবান্নের কর্তারা মনে করছেন, অতীতে ভোটের মুখে সরিয়ে দেওয়া অফিসারদের কমিশন কখনওই পরবর্তী কালে ভোটের দায়িত্বে রাখে না। এর আগেও সঞ্জয় বনসল, অলকেশপ্রসাদ রায়ের মতো অফিসারদের শেষ মুহূর্তে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই কারণেই আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে নবান্ন।

কলকাতা দক্ষিণের নির্বাচনী অফিসারদের পদ থেকে সঞ্জয় বনসলকে আগেই সরানো হয়েছে। সেখানে এসেছেন অবনীন্দ্র সিংহ। বনসল এখন কেএমডিএ-র সিইও। গত বছর বর্ধমানের পুলিশ সুপার পদে থাকা কুণাল আগরওয়ালকেও বীরভূমের পুলিশ সুপারের পদ থেকে সরিয়ে সিআইডি-তে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া, কমিশন ভোটের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিল এমন অফিসারদের মধ্যে রয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার, মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার, পুরুলিয়ার জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায়। তাঁদেরও সরানো হতে পারে বলে নবান্নের গুঞ্জন।

কর্নাটক ভোটে তিন বছর এক জায়গায় আছেন এমন অফিসারদের পাশাপাশি কোনও একটি উপ-নির্বাচন পরিচালনা করেছেন, এমন অফিসারদেরও সরিয়ে দিতে বলেছিল কমিশন। সেই নির্দেশ এখানে মানা হলে উলুবেড়িয়া, মহেশতলা, নোয়াপাড়ার উপ-নির্বাচন পরিচালনা করা জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদেরও সরে যেতে হবে। বস্তুত সে ক্ষেত্রে ২০১৭-এর ৩১ মে-র আগে উপ-নির্বাচন পরিচালনা করা সব অফিসারকেই সরতে হবে বলে জানান কমিশনের কর্তারা। ফলে এক মাসের মধ্যে রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনে ব্যাপক রদবদলের সম্ভাবনা প্রবল।

নেতাকে হুমকি তৃণমূল পরিচালিত চন্দ্রকোনা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষের পথ আটকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল দলেরই কর্মী সুশান্ত আড়ির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে চন্দ্রকোনার কুঁয়াপুর সংলগ্ন ভীমচকের এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন