মমতার সফরের মুখে হাতির হানা, উদ্বেগ

ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের মানিকপাড়া রেঞ্জের হাতির দলটি গ্রামবাসীর তাড়া খেয়ে বুধবার রাতে ঝাড়গ্রাম শহর লাগোয়া পুকুরিয়া বিট এলাকায় ঢুকে পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৭ ০১:১৫
Share:

ফাইল ছবি।

তিন দিনের সফরে সোমবার আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে ঝাড়গ্রাম শহরের কাছাকাছি এসে পড়ল দলমার হাতির পাল। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য তৈরি হেলিপ্যাডের কাছাকাছি শুক্রবার রাতে চলে এসেছিল হাতিগুলি। তাদে খেদিয়ে দূরে পাঠাতে কালঘাম ছুটছে বন দফতরের।

Advertisement

ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের মানিকপাড়া রেঞ্জের হাতির দলটি গ্রামবাসীর তাড়া খেয়ে বুধবার রাতে ঝাড়গ্রাম শহর লাগোয়া পুকুরিয়া বিট এলাকায় ঢুকে পড়ে। প্রায় ২৫টি হাতির ওই দল শুক্রবার রাতে ঝাড়গ্রামের পাঁচামি, সাপধরা, দুধকুণ্ডি, গামারিয়া গ্রামের ধানখেতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি চালায়। তারপর তারা চলে যায় সাপধরা পঞ্চায়েতের রাজপাড়া ফুটবল মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য তৈরি হেলিপ্যাডের কাছাকাছি। হেলিপ্যাডের অদূরে ঢেঁকিপুড়া গ্রামে হাতির দল এসেছিল। বন দফতর সূত্রে খবর, হাতির পালটি এখন অরণ্যশহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে পুকুরিয়া বিটের বেনিপুর জঙ্গলে রয়েছে। ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ হলেইচ্চি বলেন, “কয়েকদিন ধরেই ২২-২৫টি হাতির দল পুকুরিয়া বিটের জঙ্গলে ঘোরাফেরা করছে। ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে তাদের অন্যত্র সরানোর চেষ্টা হচ্ছে।”

এই পরিস্থিতিতে এলাকাবাসী খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত বছর জুনে ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকে ‘হাতি তাড়াতে ব্যর্থ’ বন কর্তাদের ধমকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফসলের ক্ষতি ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান জেনে বন দফতর রাখার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা। তারপর গত এক বছরে দলমার হাতির পালকে ঝাড়খণ্ড সীমানায় আটকে রাখার চেষ্টা করেও পারেনি বন দফতর। হাতির হানায় এই সময়ে শুধু ঝাড়গ্রাম জেলাতেই ১২৮৪ হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের।

Advertisement

এ বার দুর্গাপুজোর সময় প্রায় একশোটি হাতি ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়া রেঞ্জের গ্রামগুলিতে তাণ্ডব চালায়। তখন সর্ডিহার কাছে ট্রেনের ধাক্কায় একটি হাতির মৃত্যুও হয়েছিল। পরে ৭০-৮০টি হাতির পাল কংসাবতী পেরিয়ে মণিদহ হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের চাঁদড়ার দিকে চলে গিয়েছিল। আর মানিকপাড়ায় থেকে গিয়েছিল প্রায় ২৫টি হাতি। বড় দলটি নবমীর দিন লালগড়ে ঢোকে। তাদের দলমার রুটে ফেরাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে বন দফতর। শেষে শুক্রবার রাতে পালের বেশিরভাগ হাতিকে লালগড় থেকে খেদিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াবসত রেঞ্জের জঙ্গলে পাঠান বনকর্মীরা। তবে ৮টি হাতি এখনও লালগড়ের বীরকাঁড় জঙ্গলে রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন