ছবি: সংগৃহীত।
নারদ-তদন্তে সিবিআইয়ের কাছে সময় চেয়ে নিলেন মুকুল রায়।
শনিবার তাঁর এলগিন রোডের ফ্ল্যাটে যেতে চেয়েছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। তিন দিন আগে সে কথা জানিয়ে চিঠিও দেওয়া হয় মুকুলবাবুকে। সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেলে সিবিআইকে চিঠি লিখে মুকুলবাবু জানিয়েছেন, তিনি সবে তৃণমূল দল ছেড়েছেন। কিছুটা অস্থিরতার মধ্যে রয়েছেন। তাই তাঁকে কিছু সময় দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোট কবে, টানাপড়েন
সিবিআইয়ের দাবি, বছর তিনের আগে আর এক অভিযুক্ত টাইগার মির্জাকে সঙ্গে নিয়ে নারদ নিউজের সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েল এলগিন রোডের একটি ফ্ল্যাটে মুকুলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে ম্যাথু টাকা দিতে চেয়েছিলেন মুকুলকে। তিনি নিজে না-নিয়ে টাকাটা বর্ধমানের তৎকালীন পুলিশ সুপার এসএমএইচ মির্জার কাছে দিয়ে দিতে বলেন।
সিবিআই সূত্রের কথায়, এলগিন রোডের ফ্ল্যাটে মুকুলের সঙ্গে ম্যাথুর কথাবার্তার ভিডিও ফুটেজ তদন্তকারীদের হাতে রয়েছে। মুকুলের ফ্ল্যাটে গিয়ে সেই ভিডিও ফুটেজের ছবি মিলিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা। সপ্তাহ দুই আগেও সিবিআইয়ের নিজাম প্যালেসের কার্যালয়ে মুকুলবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। প্রায় সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে নারদ স্টিং অপারেশনের খুঁটিনাটি বিষয়ে তাঁর বক্তব্য শোনে সিবিআিই।
এ দিকে, সুভাষচন্দ্র বসুর উল্লেখ করে শনিবার দলত্যাগী মুকুল রায়কে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। শনিবার জল প্রকল্পের উদ্বোধনে মেদিনীপুর শহরের গোপ কলেজে এসেছিলেন সুব্রতবাবু। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “দল থাকলে এ ভাবে কেউ কেউ দল থেকে চলে যায়। একটা সময়ে নেতাজিও কংগ্রেস ছেড়ে ফরওয়ার্ড ব্লক করেছিলেন। তাতে কংগ্রেস উঠে যায়নি।’’ সুব্রতবাবুর প্রশ্ন, মুকুল কি নেতাজির থেকেও বড় নেতা নাকি?