বড়বাজারে সোনার বিস্কুট কেনাবেচা করেন তিনি। প্রতিদিন গড়ে চার থেকে ছ’টি বিস্কুট বেচে আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকার কারবার চালান। অথচ ৮ নভেম্বর নোট বাতিলের দিন ৪০০টি বিস্কুট বেচে প্রায় ১০ কোটি টাকার লেনদেন করেন।
তদন্তে নেমে আয়কর-কর্তারা দেখেন, ওই ৪০০টি বিলের কোনওটিই ২ লক্ষ টাকার বেশি নয়। তাই সেগুলিতে ক্রেতার প্যান নম্বরও নেই। নাম-ঠিকানা হিসেবে শুধু পিন কো়ড লেখা। জেরার মুখে ব্যবসায়ী স্বীকার করেছেন, সাধারণ দিনে প্রতি ১০ গ্রাম সোনা তিনি ২৬-২৭ হাজার টাকায় বেচতেন। কিন্তু ৮ তারিখে দাম ৪০-৪৫ হাজারে ওঠায় বিক্রি বাড়ান। এই খাতে পাওয়া পুরনো নোটে ১০ কোটি টাকা ব্যাঙ্কে জমা দিতেই আয়কর দফতরের নজরে পড়েন। বিষয়টি ইডি-কেও জানানো হয়েছে।
শহরেরই আর এক ব্যবসায়ী ব্যাঙ্কে ১০ কোটি টাকার পুরনো নোট জমা দিয়েছেন। বলেছেন, আয় মাল বেচেই। অথচ আয়কর অফিসারেরা দেখছেন, আদতে ওই বিক্রিই হয়নি। বিল ভুয়ো।
পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর-পূর্বাঞ্চল মিলিয়ে ১৬৪০টি লেনদেনের কথা কলকাতায় আয়কর দফতরকে জানিয়েছে কেন্দ্র। যেগুলিতে পুরনো নোটে ৭,০০০ কোটি টাকা জমা পড়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে। দফতর সূত্রে খবর, তালিকা দেখে এ রাজ্যের ৩৫ জন ব্যবসায়ী ও ৩টি প্রতিষ্ঠানের লেনদেনকে আতসকাচের তলায় ফেলছে তারা। আছে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক, ৩টি হেড পোস্ট অফিস ও কলকাতা পুরসভা। তবে তিনটি ক্ষেত্রেই, সাধারণ মানুষের টাকা জমা পড়ে। অঙ্কটা বিশাল বলে নিয়ম মানা হয়েছে কি না দেখা হচ্ছে।