পার্ক স্ট্রিটে প্রভিডেন্ট ফান্ড অফিসে ইডির হানা। —নিজস্ব চিত্র
প্রভিডেন্ট ফান্ড নিয়েও বড়সড় দুর্নীতি! কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড নিয়ে এই দুর্নীতির তদন্তে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)।
বৃহস্পতিবার কলকাতার পার্ক স্ট্রিটে ইপিএফও অফিস, ইপিএফও কমিশনারের বেহালার বাড়ি-সহ শহরের ছ’টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থা।
ইডি সূত্রে খবর, ২০১৭-র ১১ সেপ্টেম্বর সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা সমীরণ মণ্ডল নামে ইপিএফও-র এনফোর্সনেন্ট অফিসারকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগেগ্রেফতার করে। বাঁশদ্রোণী এলাকার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থার মালিক অভিনন্দন ঘোষের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার সময় হাতে নাতে ধরে পড়েন ওই কর্মী।
আরও পড়ুন: ‘খেলা দেখতে যাব’ বলে বেরিয়ে দুই যুবক খুন নদিয়ায়
সেই মামলারই সমান্তরাল তদন্ত শুরু করে ইডি। সূত্রের খবর, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইপিএফও দুর্নীতির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। দিল্লি, হিমাচল প্রদেশে এই কেলেঙ্কারিতে সরাসরি প্রভিডেন্ট ফান্ড কর্মীদের যোগাযোগ পাওয়া গিয়েছে। সেই কারণেই ইডির আধিকারিকদের ধারণা, দেশজোড়া সেই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ আছে কি না সেটাই খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।
বৃহস্পতিবার ২৮জুন ইডি আধিকারিকরা ইপিএফও কমিশনার রমেশ সিংহর বাড়িতে হানা দেন। সেখান থেকে প্রচুর নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা। তদন্তরকারীরা জানিয়েছেন, প্রভিডেন্ট ফান্ডের যে অ্যাকাউন্টগুলি দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত থাকছে, সেই অ্যাকাউন্টগুলোকে টার্গেট করছে জালিয়াতরা। সেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকছেন সংস্থারই এক শ্রেণির কর্মী। সিবিআইয়ের হাতে ধৃত সমীরণকেও এই বিষয় নিয়ে জেরা করা হবে।
আরও পড়ুন: তারাপীঠে পাল্টা ‘চ়ড়াম-চড়াম’ বিজেপির, পুরুলিয়া থেকেই সবচেয়ে বড় বার্তা, বলছে রাজ্য নেতৃত্ব
সেই সঙ্গে ম্যারাথন জেরা করা হয় ইপিএফও কমিশনার এবং আরও কয়েকজন কর্মীকেও। ইপিএফও অফিস থেকেও বাজেয়াপ্ত করা হয় বেশ কিছু নথি।
সম্প্রতি প্রবিডেন্ট ফান্ডের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। আধার তথ্য হাতিয়ে চাকরিজীবী মানুষের শেষ সঞ্চয় জালিয়াতদের হাতে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। ইপিএফও কর্তৃপক্ষ সেই অভিযোগ অস্বীকার করলেও, অব্যবহৃত অ্যাকাউন্টের তথ্য বাইরে চলে যাচ্ছে, এটা মানছেন গোয়েন্দারাও। সেই কারণেই ইডির আধিকারিকরা তৎপর। তাঁরা দেশজোড়া ইপিএফ জালিয়াতির অংশ হিসেবেই কলকাতায় তদন্ত শুরু করেছেন।