মুম্বইয়ে ব্যস্ততা দেখিয়ে ইডি-র অফিসে হাজিরা এড়ালেন মিঠুন

মুম্বইয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র দফতরে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু তলব পেয়েও বৃহস্পতিবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে হাজির হলেন না তৃণমূল সাংসদ ও অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সারদা গোষ্ঠীর কেলেঙ্কারির তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল ওই অভিনেতা-সাংসদকে। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এ দিন সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে হাজিরা দেননি মিঠুন। তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে আইনজীবী বিমান সরকার ইডি-র কার্যালয়ে গিয়ে তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি তদন্তকারীদের জানান, তাঁর মক্কেল জরুরি কাজে মুম্বইয়ে ব্যস্ত আছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:১০
Share:

মুম্বইয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র দফতরে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু তলব পেয়েও বৃহস্পতিবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে হাজির হলেন না তৃণমূল সাংসদ ও অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী।

Advertisement

সারদা গোষ্ঠীর কেলেঙ্কারির তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল ওই অভিনেতা-সাংসদকে। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এ দিন সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে হাজিরা দেননি মিঠুন। তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে আইনজীবী বিমান সরকার ইডি-র কার্যালয়ে গিয়ে তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি তদন্তকারীদের জানান, তাঁর মক্কেল জরুরি কাজে মুম্বইয়ে ব্যস্ত আছেন।

ইডি সূত্রের খবর, মিঠুন সারদার বৈদ্যুতিন চ্যানেলে বিশেষ একটি ‘শো’-এ যোগ দিয়েছিলেন। সেই জন্য তাঁর সঙ্গে সারদার একটি লিখিত চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির সবিস্তার তথ্য, চুক্তির দিনক্ষণ, টাকার অঙ্ক ইত্যাদি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যই এই তৃণমূল সাংসদকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। মিঠুন মুম্বইয়ে ইডি-র অফিসে গিয়ে নানান প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ভাবে যা বলেছিলেন, তদন্তকারীরা তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বলে ইডি-র খবর।

Advertisement

মিঠুনের আইনজীবী বিমানবাবু এ দিন জানান, সারদার সঙ্গে মিঠুনের চুক্তি হয়েছিল এক বছরের জন্য। চুক্তির আর্থিক পরিমাণ ছিল দু’কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানের ৪০টিরও বেশি এপিসোড বা পর্বের শ্যুটিং হয়েছিল। তার মধ্যে ২৩টি এপিসোড সম্প্রচারিত হয়। বিমানবাবু বলেন, ‘‘ওই অনুষ্ঠান সম্পর্কেই তথ্য জানতে চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এ নিয়ে আমাদের কাছে যে-তথ্য রয়েছে, তা জমা দেওয়া হয়েছে।’’ চুক্তি অনুযায়ী মিঠুন এখনও সারদার কাছে ২৪ লক্ষ টাকা পাবেন বলেও বিমানবাবু জানান। তারকা-সাংসদের কৌঁসুলির সঙ্গে কথা বলার পরে ইডি-র তদন্তকারীরা জানান, জমা পড়া নথি দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।

কিন্তু মিঠুন নিজে হাজিরা না-দিয়ে আইনজীবীকে পাঠালেন কেন?

তারকা-সাংসদের আইনজীবী জানান, সাংসদকেই হাজিরা দিতে হবে, নোটিসে এমন কোনও উল্লেখ ছিল না। বলা হয়েছিল, সাংসদ কিংবা তাঁর প্রতিনিধিকে হাজির হতে হবে। ওই আইনজীবীর কথায়, ১৪ এপ্রিল হাজিরার জন্য সাংসদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সে-দিন এবং তার পরের দিন সরকারি দফতরে
ছুটি ছিল। তাই হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার।

গত জুনেও কলকাতায় ইডি-র দফতরে তলব করা হয়েছিল মিঠুনকে। সেই সময় তিনি বিদেশে ছিলেন। তাই ইডি-র কার্যালয়ে উপস্থিত হতে পারেননি বলে বিমানবাবু এ দিন জানান। পরে জুলাইয়ে এক আইনজীবীকে নিয়ে মিঠুন হাজির হয়েছিলেন ইডি-র মুম্বইয়ের অফিসে। সারদার সঙ্গে তাঁর চুক্তির ব্যাপারে বেশ কিছু তথ্যও জমা দিয়েছিলেন বলে জানান তাঁর আইনজীবী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement