এমপ্লয়িজ স্টেট ইনস্যুরেন্স বা ইএসআই-এর কাছ থেকে সম্প্রতি ফোন এবং ই-মেল পেতে শুরু করেছে ছোট-বড় বিভিন্ন সংস্থা। যার বক্তব্য— নগদে নয়, এ বার থেকে ওই সব সংস্থা যেন অনলাইনে বা চেকের মাধ্যমে কর্মীদের বেতনের ব্যবস্থা করে। কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের নির্দেশ মেনেই ইএসআই-এর এই উদ্যোগ।
ইএসআই সূত্রের খবর, ২৫ নভেম্বর শ্রম মন্ত্রকের তরফে একটি চিঠি পেয়েছিল তারা। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, ইএসআই আওতাভুক্ত সব সংস্থার কর্মীদের যেন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলানোর জন্য প্রচার শুরু করে ইএসআই। যত দ্রুত সম্ভব রাজ্যের শিল্পশ্রমিকদের বেতন দেওয়ার পদ্ধতিকে ১০০ শতাংশ ডিজিটাল করে তুলতেই এই উদ্যোগ। মন্ত্রকের চিঠি পাওয়ার পরে তাদের আওতাভুক্ত সব সংস্থাকে ফোন এবং ই-মেল করে বিষয়টি জানিয়েছে ইএসআই। নানা জায়গায় প্রচারও করেছে তারা।
ইএসআই-এর আঞ্চলিক ডিরেক্টর চিন্ময় বসু জানিয়েছেন, এ রাজ্যে প্রায় ৫০ হাজার সংস্থা এবং তাদের ১২ লক্ষ শিল্পশ্রমিক ইএসআই-এর সুবিধা পান। ওই শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার পদ্ধতি যাতে ডিজিটাল হয়, সে জন্যই ইএসআইকে উদ্যোগী হতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
সম্প্রতি ইএসআই কর্মীরা রাজ্যের বিভিন্ন শিল্প সংস্থার থেকে তথ্য নিয়ে দেখেছেন, শ্রমিকদের বড় অংশেরই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। কিন্তু সেই ব্যাঙ্ক অ্যকাউন্ট ব্যবহারে তাঁরা বিশেষ স্বচ্ছন্দ নন। ইএসআই-এর এক কর্তা বলেছেন, ‘‘সংস্থাগুলির সঙ্গে ইএসআই-এর যা লেনদেন, সবই হয় অনলাইনে। কিন্তু সংস্থাগুলি নিজেদের কর্মীদের কোন পদ্ধতিতে বেতন দিচ্ছে, তার তথ্য আমাদের কাছে এসে পৌঁছয় না।’’
সংস্থা সূত্রের খবর, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকা সত্ত্বেও শ্রমিকদের বেতন নগদেই দেওয়া হয়। শ্রমিকেরাও দীর্ঘদিন ধরে এই পদ্ধতিতেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি নোট বাতিলের ধাক্কায় বড়সড় অসুবিধার মুখে পড়েছেন তাঁরা। শুধু পুরনো নোট বাতিলেই নয়, নতুন নোটের জোগানও যে-হেতু যথেষ্ট পরিমাণে নয়, তাই ডিসেম্বরের বেতন যতটা বেশি পরিমাণে অনলাইন বা চেকের মাধ্যমে দেওয়া যায়, সে দিকে বিশেষ জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। কেন্দ্র। আর সেই সূত্রেই সব শ্রমিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার কথা বলে ফোন এবং ই-মেল যাচ্ছে জেলায় জেলায়।