ফাইল ছবি
সিপিএমের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করলেন তিন বারের প্রাক্তন সাংসদ, তথা মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সদস্য মইনুল হাসান। শনিবার বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়ে দিলেন, ‘‘সিপিএমের সঙ্গে দীর্ঘ প্রায় পঞ্চাশ বছর আছি। তবে আর নয়।’’ গত কয়েক দিন ধরে সিপিএম ছেড়ে মইনুল তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে কানাঘুষো চলছিল। এ দিন মইনুল বলেন, ‘‘এখনই কিছু বলছি না। সময় হলে বলব।’’
তা হলে দল ছাড়ছেন কেন? মইনুলের দাবি, সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটি এখনও বিজেপিকে ধর্মীয় ফ্যাসিবাদী দল বলে ঘোষণা করতে নারাজ। ফলে বিজেপির বিরুদ্ধে সব বিরোধী গণতান্ত্রিক দল নিয়ে সার্বিক ঐক্য গড়ে তোলা এখনও সম্ভব হয়নি। দলিত ও সংখ্যালঘুদের দলীয় নেতৃত্বে ও জনপ্রতিনিধি হিসাবে জায়গা হয়নি। নতুন প্রজন্মের হাতে দলীয় নেতৃত্ব না দিয়ে বৃদ্ধেরাই দলের রাশ ধরে রেখেছে। দলের অভ্যন্তরে বহু বার বলা হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি। সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত।
সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য পাল্টা বলছেন, ‘‘ওঁর অভিযোগ ঠিক নয়। নিজস্ব নীতি-আদর্শ মেনে দল পরিচালিত হয়। বাকি প্রশ্নের উত্তর রাজ্য ও কেন্দ্রীয় কমিটি দেবে।’’
এর আগে মইনুলের দাদা জিয়াগঞ্জ শ্রীপৎ সিংহ কলেজের অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান আহমেদ বছর দুয়েক আগে সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। সিপিএমের জেলা কমিটির এক সদস্যের কটাক্ষ, ‘‘দাদা তো আগেই গিয়েছেন। এ বার মইনুলের পালা। সেখানে যাওয়ার জন্যই এখন এ সব বলছেন।’’