—ফাইল চিত্র।
কিছু দিন প্রায় চুপচাপ থাকার পরে সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্ত নিয়ে সিবিআই যে আবার পুরোদমে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, ইদানীং তার প্রমাণ মিলছিল বারবার। সেই তৎপরতার অঙ্গ হিসেবেই সোমবার সল্টলেকের দফতরে রীতিমতো তলব করে প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষকে ফের জেরা করল তারা।
সারদা তদন্ত শুরুর সময়ে কুণাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-কে ৯১ পাতার একটি চিঠি লিখেছিলেন। পরে সেটি সিবিআইয়ের হাতে আসে। সিবিআই সূত্রের খবর, এ দিন সেই চিঠির বয়ান নিয়েই কুণালকে নতুন করে জেরা করা হয়।
সিবিআই জানায়, কুণালের ওই চিঠিতে সারদা সম্পর্কে অনেক তথ্য আছে। সিবিআই-কর্তা রাকেশ আস্থানা সম্প্রতি দিল্লি থেকে এসে তদন্তে জোর দিতে বলার পরে সেই চিঠি নিয়ে বসেন তদন্তকারীরা।
সেই চিঠিতে কুণাল যে-সব অভিযোগ এনেছিলেন, সিবিআই অফিসারেরা এ দিন তৃণমূলের এই প্রাক্তন সাংসদের সঙ্গে তা নিয়ে কথা বলেন। জেলে থাকাকালীন সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন, রোজ ভ্যালির মালিক গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে তাঁর কী কী বিষয়ে কথা হয়েছিল, সেখান থেকে তিনি কোনও নতুন তথ্য পেয়েছেন কি না, এ দিন কুণালের কাছে তা-ও জানতে চেয়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।
সন্ধ্যায় এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কুণাল বলেন, ‘‘আমায় তলব করেছিল। গিয়েছিলাম। যা জিজ্ঞাসা করেছে, তার জবাব দিয়েছি।’’ তাঁকে আবার সাত দিন পরে ডাকা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।
চার বছর ধরে সারদা-কাণ্ডের তদন্ত চলছে। কিন্তু এত দিনেও এই মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করেনি সিবিআই। তা নিয়ে সম্প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই অবস্থায় সিবিআইয়ের বেশ কয়েক জন শীর্ষ কর্তা দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে তদন্তের তদারক করে গিয়েছেন। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এক-এক করে আবার অনেককেই ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রাজ্য পুলিশের যে-সব অফিসার প্রথমে সারদা-তদন্তে যুক্ত ছিলেন, ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁদেরও।