State News

দু’দিনে ৫ ফাঁসির নির্দেশ ৩ জেলায়

এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের দায়ে এ দিন সাবির আলি লস্কর ও পালান লস্করকে ফাঁসির সাজা শোনান এ দিন বারুইপুরের ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক রমেন্দ্রনাথ মাকাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:০২
Share:

প্রতীকী ছবি।

নাবালিকা আত্মীয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার এক যুবক-সহ দু’জনকে ফাঁসির শাস্তি দিয়েছে বারুইপুর আদালত। এ দিন কালিম্পং আদালতও এক মহিলা ও তাঁর দুই শিশু সন্তানকে নৃশংস ভাবে খুনের মামলায় এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। মুক্তিপণের জন্য ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে খুনের ঘটনায় সোমবার জিরাট-হাটখোলার বাসিন্দা গৌরব মণ্ডল ও কৌশিক মালিককে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল চুঁচুড়া আদালত। এই নিয়ে দু’দিনে পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিল বিভিন্ন আদালত।

Advertisement

এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের দায়ে এ দিন সাবির আলি লস্কর ও পালান লস্করকে ফাঁসির সাজা শোনান এ দিন বারুইপুরের ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক রমেন্দ্রনাথ মাকাল। ওই ঘটনায় এক নাবালকও অভিযুক্ত। তার বিচার চলছে জুভেনাইল আদালতে। ২০০৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সোনারপুর থানার বনহুগলির জয়কৃষ্ণপুর এলাকায় একটি পুকুর থেকে সাবিরের বছর পনেরো বয়সি এক আত্মীয়ার দেহ উদ্ধার হয়। তাকে ধর্ষণ করে খুন করেছিল সাবির-সহ ওই তিন জন।

বারুইপুরের সরকারি কৌঁসুলি তপন মণ্ডল জানান, ঘটনার দিন মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে যায় সাবির। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে দুই সঙ্গীকে নিয়ে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের পরে গামছার ফাঁস দিয়ে খুন করে সে। পরে পাশের একটি পুকুরে দেহ ফেলে দেয়। বিচারক এ দিন দোষীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘এই ঘটনা অত্যন্ত ঘৃণ্য। বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধের জন্য আমি সর্বোচ্চ শাস্তিই ঘোষণা করেছি।’’ তবে দুই দণ্ডিতই আদালতে নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করে। তাদের মধ্যে হেলদোল দেখা যায়নি।

Advertisement

আরও পড়ুন: ক্লান্ত হয়ে গেলে যে সম্প্রীতির উৎসবে ঘাটতি পড়বে আমাদের

বৌদি ও দুই ভাইপোকে খুনের দায়ে সুরজে ভুজেল নামে এক যুবককে ফাঁসির সাজা দিয়েছেন কালিম্পং জেলা আদালতের বিচারক পার্থসারথি মুখোপাধ্যায়। পৃথক জেলা আদালত হিসেবে এটাই কালিম্পঙের প্রথম ফাঁসির সাজা। ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বৌদি এবং তাঁর ছয় ও আট বছরের সন্তানকে কুপিয়ে খুন করে সুরজে। পুলিশ জানায়, দাদার মৃত্যুর পরে তাঁর সিঙ্কোনা বাগানের চাকরিটি সুরজের বদলে পেয়েছিলেন তার বৌদি। সেই রাগ থেকেই বৌদি এবং ভাইপোদের খুন করে সে। সাজা ঘোষণার পরেও নির্বিকার দেখিয়েছে সুরজেকে। ফাঁসির সাজা হওয়ায় দু’-এক দিনের মধ্যেই সুরজেকে জলপাইগুড়ি সেন্ট্রাল জেলে পাঠিয়ে দেবেন কালিম্পং জেলা জেল কর্তৃপক্ষ। সাধারণত, ফাঁসির সাজাপ্রাপ্তকে আলাদা সেলে রাখতে হয়। কালিম্পং জেলা জেলে সেই পরিকাঠামো নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন