নেতাজি-নথি প্রদর্শিত হবে জাতীয় গ্রন্থাগারে

শুধু সুভাষচন্দ্র বসুরই নয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়েরও বেশ কিছু নথি, লেখা, চিঠি জনসমক্ষে আনা হবে। সে সব দেখার সুযোগ মিলবে জাতীয় গ্রন্থাগারেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৮ ০৪:১০
Share:

ওল্ড কারেন্সি হাউস ঘুরে দেখছেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি সচিব রাঘবেন্দ্র সিংহ। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

সুভাষচন্দ্র বসু সংক্রান্ত যে সব গোপন নথি ইতিমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে, সেগুলি এ বার প্রদর্শিত হবে জাতীয় গ্রন্থাগারে। রাখা হবে সুভাষচন্দ্র সংক্রান্ত আরও নথি। সেই ফাইল, পুরনো নথি দেখতে পারবেন সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার শহরে এসে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি সচিব রাঘবেন্দ্র সিংহ।

Advertisement

অবশ্য শুধু সুভাষচন্দ্র বসুরই নয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়েরও বেশ কিছু নথি, লেখা, চিঠি জনসমক্ষে আনা হবে। সে সব দেখার সুযোগ মিলবে জাতীয় গ্রন্থাগারেই। চলতি বছরের নভেম্বরে গ্রন্থাগারে ওই চার ব্যক্তিত্বকে নিয়ে স্থায়ী প্রদর্শনী করা হবে। রাঘবেন্দ্রবাবু বলেন, ‘‘চার ব্যক্তিত্বকে নিয়ে আমরা স্থায়ী প্রদর্শনীর পরিকল্পনা করেছি। নেতাজির ‘ডিক্লাসিফায়েড’ ফাইলও থাকবে।’’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কলকাতার চারটি ঐতিহ্যশালী ভবন ঢেলে সাজাতে কেন্দ্রের তরফে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কলকাতার প্রকল্পটি দ্রুত রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আমলা রাঘবেন্দ্র নিজেই। এ দিন তিনি জাতীয় গ্রন্থাগার, ওল্ড কারেন্সি হাউস এবং মেটকাফ হল ঘুরে দেখেন।

ওল্ড কারেন্সি হাউসে দিল্লির ‘ন্যাশনাল গ্যালারি অব মডার্ন আর্ট’-এর অনুসরণে কলকাতা চ্যাপ্টারের উদ্বোধন করা হবে বলে রাঘবেন্দ্রবাবু জানান। সেখানে রামকিঙ্কর বেজের ভাস্কর্য, চিত্রকলা প্রদর্শিত হবে। সেগুলি সংরক্ষণও করা হবে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে ওল্ড কারেন্সি হাউস সংস্কারের দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (এএসআই)। তবে শুধু রামকিঙ্কর বেজেরই নয়, বাংলার চিত্রকলাই এখানে তুলে ধরা হবে বলে কেন্দ্রীয় সচিব জানিয়েছেন। অন্য শহরে যে সব চিত্রকলা, ভাস্কর্য রয়েছে, সেগুলিও এখানে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে প্রদর্শিত হবে, যাতে শহরবাসীরা সেগুলি দেখার সুযোগ পান। রাঘবেন্দ্রবাবুর কথায়, ‘‘পুজোর সময়ে এটাই শহরবাসীদের জন্য আমাদের উপহার। এখানে যেমন চিত্রকলা প্রদর্শিত হবে, তেমনই শিল্প নিয়ে একটা আলোচনা-আড্ডার জায়গা আমরা তৈরি করতে চাইছি। যেখানে সকলে মিলে কফি খেতে-খেতে শিল্প নিয়ে আড্ডা দিতে পারবেন। এটাকে আমরা শিল্পীদের হাব হিসেবে তৈরি করতে চাইছি।’’ আজ, শুক্রবার তাঁর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এবং সায়েন্স সিটি ঘুরে দেখার কথা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement