লক্ষ্য পঞ্চায়েত, জানুয়ারির মধ্যেই কাজ শেষ চাই, কড়া নির্দেশ মমতার

ডুয়ার্স ও চা বাগান এলাকাতেও বিজেপির প্রভাব এখন যথেষ্ট। গত বিধানসভা ভোটে মাদারিহাট আসনটি জিতে নেয় তারা। আদিবাসী অধ্যুষিত চা বলয়ে শীতের সময়ে যাতে পানীয় জলের সঙ্কট না হয়, সেই বিষয়ে তৎপর থাকতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

কিশোর সাহা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:০৫
Share:

নেত্রী: উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

উত্তরবঙ্গের তিন সীমান্তবর্তী জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে পঞ্চায়েত ভোটের সুরই যেন বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

বুধবার উত্তরকন্যায় আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির পুলিশ-প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ওই বৈঠক হয়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, আগামী জানুয়ারির মধ্যে শেষ করতে হবে যাবতীয় সরকারি প্রকল্পের কাজ। এক সময়ে তিনি মনেও করিয়ে দেন, ‘‘সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। কাজ যাতে আটকে না যায়, সেটাও মাথায় রাখতে হবে।’’

এই তিন জেলায় সম্প্রতি শক্তি বাড়াচ্ছে বিজেপি। কোচবিহারে গত বছর লোকসভা উপনির্বাচনে বামেদের পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসে তারা চমকে দিয়েছে রাজনৈতিক পণ্ডিতদের। জেলায় বারবার সফর করছেন বিজেপির রাজ্য নেতারা। কিছু দিন আগে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও এসেছিলেন। তাই মুখ্যমন্ত্রী যে কোচবিহারের উপরে এ দিন বাড়তি জোর দেবেন, তার ইঙ্গিত আগেই ছিল।

Advertisement

বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকে কোচবিহারে একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে কোন প্রকল্প কতটা রূপায়ণ করা হয়েছে, তার খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময়ে বিডিওদের কৈফিয়ত শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। পরে জেলাশাসক কৌশিক সাহাকে নির্দেশ দেন, ডিসেম্বরের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে হবে। একই সঙ্গে জানান, গাফিলতি বা দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না।

ডুয়ার্স ও চা বাগান এলাকাতেও বিজেপির প্রভাব এখন যথেষ্ট। গত বিধানসভা ভোটে মাদারিহাট আসনটি জিতে নেয় তারা। আদিবাসী অধ্যুষিত চা বলয়ে শীতের সময়ে যাতে পানীয় জলের সঙ্কট না হয়, সেই বিষয়ে তৎপর থাকতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৩টি প্রকল্পের কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করারও নির্দেশ দেন তিনি। চা বাগান অধিগ্রহণ প্রসঙ্গে কেন্দ্র যে নিজেদের প্রতিশ্রুতি রাখেনি, সেই অভিযোগ করে বলেন, ‘‘আমরা এমন ভাঁওতা দিই না। যতটা পারছি করছি।’’

আরও পড়ুন: ডাক্তারদের শো-কজ করায় ধমক মুখ্যমন্ত্রীর

তৃণমূল মনে করছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো সরকারি প্রকল্পের দ্রুত সঠিক রূপায়ণ, দুর্নীতি দমন করতে পারলে পঞ্চায়েত ভোটে ভাল ফল হওয়া উচিত। বিজেপির অবশ্য দাবি, বেশির ভাগ প্রকল্পই কেন্দ্রীয় টাকায় চলে। তাঁরা সেই প্রচারে নামবেন কিছু দিনের মধ্যেই।

ফলে দিন যত এগোবে, তিন জেলাতেই টক্করের সম্ভাবনা তত বাড়বে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন