পণের দাবিতে উলুবেড়িয়ার মিতা মণ্ডলকে প্রাণ দিতে হয়েছিল নবমীর রাতে। মেয়ে হওয়ার অপরাধে পঞ্চমীর দিন খুন হয়েছিলেন ধুবুলিয়ার পায়েল পাল। আবারও পণের দাবিতে বধূ হত্যার ঘটনা সামনে এল রাজ্যে।
মৃত মানসী মিস্ত্রি(কয়াল) দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা। তাঁর বাপেরবাড়ির লোকজনের অভিযোগ, পণের দাবিতে মানসীকে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এই ঘটনায় ডায়মন্ড হারবার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও পরিবারের দাবি এখনও চার জন আসামী পলাতক। মেয়ের খুনীরা যাতে ধরা পড়ে এবং উপযুক্ত শাস্তি পায় সেই দাবিতে মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন মানসীর বাবা-মা এবং দিদি-জামাইবাবু। এ দিনই সমস্ত ঘটনা বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে একটি চিঠি দেন তাঁরা।
মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে জমা দেওয়া সেই চিঠি।—নিজস্ব চিত্র।
সেই চিঠিতে মানসীর বাবা জ্ঞানদা কয়াল জানান, গত ২৫ সেপ্টেম্বর মেয়েকে জোর করে বিষ খাইয়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এই ঘটনার তিন দিন পর যখন মানসীর গলায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে মেয়ের অসুস্থতার কথা তাঁদের জানানো হয়। শ্বশুরবাড়ির তরফে জানায় গলায় ইনফেকশন হয়েছে মানসীর। যদিও পরে তাঁরা জানায়, বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন মানসী। এই অবস্থাতেই মানসীকে বাপের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১লা অক্টোবর তাঁকে এসএসকেএম-এ ভর্তি করা হয়। ১৮ দিন চিকিৎসকদের প্রাণপণ চেষ্টার পরেও বাঁচানো যায়নি মানসীকে।
জ্ঞানদাবাবুর অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই পণের টাকার জন্য মেয়ের উপর অত্যাচার চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। কিন্তু তাঁর পরিণতি যে এমন হবে তা ভাবতে পারেননি তাঁরা। দোষীরা যাতে তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই আর্জি জানিয়েছেন জ্ঞানদাবাবু।
তবে এই চিঠি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: সিআইডি-র হাতে তদন্ত যেতেই গ্রেফতার মিতার শাশুড়ি-দেওর