West Bengal Panchayat Election 2023

নকল ব্যালটের আশঙ্কা অধীরের, ওড়াল তৃণমূল

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এর আগে ‘ডাবল ব্যালটে’র আশঙ্কার কথা বলে সরব হয়েছিলেন। এ বার অধীরের মুখেও প্রায় একই অভিযোগের পুনরাবৃত্তি শোনা গেল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৩ ০৭:৪০
Share:

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।

পঞ্চায়েত ভোটে ‘নকল ব্যালট’ ব্যবহার হতে পারে বলে অভিযোগ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এর আগে ‘ডাবল ব্যালটে’র আশঙ্কার কথা বলে সরব হয়েছিলেন। এ বার অধীরের মুখেও প্রায় একই অভিযোগের পুনরাবৃত্তি শোনা গেল। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে, অভিযোগের প্রমাণ থাকলে অধীরেরা নির্বাচন কমিশন বা আদালতে যাচ্ছেন না কেন?

Advertisement

বহরমপুরে বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, ‘‘ব্যালট পেপার জোড়া ছাপা হচ্ছে। মানুষের ভোটকে পরিবর্তন করে নকল ব্যালটের মধ্য দিয়ে তাদের জয় নিশ্চিত করতে চাইছে তৃণমূল। আগামী দিনে বাংলায় নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার জন্য তৃণমূলের নেত্রীর নির্দেশে বাংলার পুলিশ-প্রশাসন সক্রিয় হয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে।’’ যার জবাবে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের প্রশ্ন, ‘‘এই অভিযোগের প্রমাণ থাকলে অধীরবাবু আদালত বা নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছেন না কেন? তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের সমর্থনেই ক্ষমতায় আসবে।’’ রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে বলা হয়েছে, নকল ব্যালট হওয়ার কথা নয়। যে ব্যালট ব্যবহার হয়, তার ক্রমিক নম্বর থাকে এবং তা সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হয়।

অধীর এ দিন অভিযোগ করেছেন, ‘‘ব্যালট পেপার জোড়া ছাপা হচ্ছে, সেই ব্যালট পেপার নির্বাচনের দিন বুথ থেকে স্ট্রং রুমে যাওয়ার পথে পরিবর্তিত হবে। ব্যালট ছাপান যে অফিসারেরা, যাঁদের কাছে কম্পিউটারের চাবি থাকে, সেই চাবি পুলিশ চাইছে। পুরুলিয়ায় তিন জন অফিসারকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের দক্ষতা, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও। কারণ, ব্যালট ইউনিটের চাবি দিতে তাঁরা অস্বীকার করেছেন।’’ প্রদেশ সভাপতির দাবি, ‘‘আদালতের বার বার হস্তক্ষেপে বিচলিত তৃণমূল। তাই সন্ত্রাস এবং কারচুপির নতুন নতুন রাস্তা উদ্ভাবন করছে!’’

Advertisement

ব্যালট-প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘এই অভিযোগ আগেই বিরোধী দলনেতা করেছিলেন। পঞ্চায়েতে দখলদারি কায়েম রাখতে তৃণমূল যে কোনও পন্থা অবলম্বন করতে পারে। কারণ, ওরা জানে যদি পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়ে যায়, যদি করে খাওয়ার জায়গা চলে যায়, তা হলে দল থাকবে না। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে!’’ প্রশ্নের জবাবে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও বলেছেন, ‘‘কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। এই জন্যই যেখানে ব্যালট ছাপা হচ্ছে, সেখানে সিসিটিভি রাখার দাবি করেছি আমরা। স্ট্রংরুমে নিরাপত্তা বাড়াতে বলেছি। আমাদের কর্মীদেরও বলছি সব সময় সতর্ক থাকতে।’’ তবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা ফিরহাদের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘ওঁরা সংগঠন, সমর্থন নেই বলে সংবাদমাধ্যমে চমক দিয়ে বেঁচে থাকতে চাইছেন! ওঁর মতো খুনের রাজনীতি আমরা করি না!’’ প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের নওদায় এ দিনই দুর্যোগের মধ্যে কংগ্রেসে যোগদান করেছেন অনেকে।

অন্য দিকে, বিভিন্ন জায়গায় বিডিও-দের ভূমিকা নিয়ে যে অভিযোগ আসছে, তা নিয়ে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিন্হা এ দিন বলেছেন, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারও দোষ প্রমাণিত হলে আইনত পদক্ষেপ করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement