৬ মাস আগে চুক্তি শেষ, তবু আধার চলছে

গণেশকে জেরা করে পুলিশ প্রথমে রাজ বাঁসকোটাকে গ্রেফতার করে, তার পরে প্রতাপ ঘিমিরেকে। প্রতাপকে জেরা করে হদিশ মেলে হোগলাজোতের বাড়িটির।

Advertisement

কিশোর সাহা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৮ ০৪:৪৪
Share:

আগে তারা কেন্দ্রীয় সংস্থা ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি-র নথিভুক্ত ছিল। আধার কার্ড তৈরির কাজ করত। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ডিসেম্বরে সেই চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে। তার পরেও শিলিগুড়ির মাটিগা়ড়া এলাকার হোগলাজোতের একটি বাড়িতে দেদার তৈরি হত আধার। শিলিগুড়িতে ধৃত চিনা নাগরিক পু ওয়াংয়ের আধার কার্ড ধরে উৎস খুঁজতে গিয়ে মঙ্গলবার রাতে সেই হোগলাজোতের বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ। কম্পিউটার এবং আরও কিছু সরঞ্জাম মিলেছে সেখান থেকে। গ্রেফতার করা হয়েছে গৌরীশঙ্কর সাহু নামে এক ব্যক্তিকে। তাঁর সাত দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে।

Advertisement

শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী বলেছেন, ‘‘এ ভাবে যথেচ্ছ আধার কার্ড হওয়াটা সাংঘাতিক উদ্বেগের ব্যাপার। ওই চক্রের সঙ্গে যুক্ত সকলকে খুঁজে বার করা হবে।’’ প্রাথমিক তদন্তে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের (এসবি) অফিসাররা জেনেছেন, কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও গত ছ’মাস ধরে আধার কার্ড বানিয়ে গিয়েছে এই সংস্থাটি। পুলিশের অনুমান, ৫০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকায় এক একটি কার্ড করে দিত তারা। এই কাজে গৌরীশঙ্করের এক অংশীদারও ছিল। তিনি পলাতক। পুলিশের ধারণা, তাঁকে ধরতে পারলে সঠিক টাকার অঙ্ক জানা যাবে।

পুলিশের বক্তব্য, পু গ্রেফতার হওয়ার পরে প্রথম নকল আধার কার্ডের সন্ধান মেলে। পু-কে মদতের অভিযোগে পরিবহণ ব্যবসায়ী বাপ্পাই আগরওয়াল ও নেপালের নাগরিক গণেশ ভট্টরাই গ্রেফতারকে করা হয়। গণেশকে জেরা করে পুলিশ প্রথমে রাজ বাঁসকোটাকে গ্রেফতার করে, তার পরে প্রতাপ ঘিমিরেকে। প্রতাপকে জেরা করে হদিশ মেলে হোগলাজোতের বাড়িটির।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন