Swasthya Sathi

‘স্বাস্থ্যসাথী’র কার্ড হাতে পেল দিলীপ ঘোষের পরিবার

‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের আওতায় এসেছেন ঝাড়গ্রামে বিজেপি-র জেলা সভাপতি সুখময় শতপথীর বাবা এবং মা দু’জনেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২১ ২১:৫৬
Share:

দিলীপ ঘোষ। — ফাইল চিত্র

ভোটের মুখে রাজ্যের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প নিয়ে কড়া সমালোচনা জারি রেখেছেন বিজেপি নেতারা। তার বদলে কেন্দ্রের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের পক্ষেই সওয়াল করছেন তাঁরা। কিন্তু ‘স্বাস্থ্যসাথী’র ‘সুফল’ হাতছাড়া করতে নারাজ গেরুয়া শিবিরের নেতাদের অনেকেই। সেই তালিকায় এ বার নাম তুলে ফেললেন বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলার সহ-সভাপতি সুকেশ ঘোষ। সম্পর্কে তিনি রাজ্য বিজেপি-র সভাপতির খুড়তুতো ভাই।

Advertisement

ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর থানার কুলিয়ানা গ্রামে বাড়ি দিলীপ ঘোষের। যদিও তিনি ওই বাড়িতে থাকেন না। সেখানে থাকেন সুকেশ। বিজেপি-র দখলে থাকা কুলিয়ানা গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি রাজ্যের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড হাতে পেয়েছেন দিলীপের তুতো ভাই সুকেশ। দিলীপের মতো তিনিও দীর্ঘ দিন ধরে বিজেপি-র সঙ্গে যুক্ত। ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা নিয়ে অবশ্য দোষের কিছু দেখছেন না সুকেশ। তিনি সটান বলে দিলেন, ‘‘সরকারের প্রকল্পের কার্ড নেওয়া কোনও অন্যায় নয়। নিয়ম মেনেই কার্ড হয়েছে। তা ছাড়া আমি ভিন্‌রাজ্যের বাসিন্দা নই যে এই সুযোগ পাব না।’’ তাঁর আরও ব্যাখ্যা, ‘‘আধার কার্ডের সময়েও বিরোধিতা করার ফলে অনেকে তা করাননি। কিন্তু পরে তাঁদের সমস্যায় পড়তে হয়। আবার এখন তাঁদের আধার কার্ড করাতে হচ্ছে। তাই যাতে ভবিষ্যতে সমস্যা না হয় সে কারণেই ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড করিয়ে রাখা।’’

রাজ্যের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প নিয়ে উল্টো অবস্থান রাজ্য বিজেপি-র। এ ক্ষেত্রে ‘আপনি আচরি ধর্ম...’ প্রশ্ন শেষ করার আগেই সুকেশের জবাব, ‘‘এত বিতর্কের কী আছে?’’ অবশ্য সুকেশ-ই প্রথম নন, এর আগে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের আওতায় এসেছেন ঝাড়গ্রামে বিজেপি-র জেলা সভাপতি সুখময় শতপথীর বাবা এবং মা দু’জনেই।

Advertisement

আরও পড়ুন: শুধু মন্ত্রিত্বই নয়, এক মহিলার জন্য সন্তানও ছেড়েছেন শোভন: রত্না

আরও পড়ুন: আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল কুণাল, পাল্টা দাবি শোভনের

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাতো বলছেন, ‘‘ওঁরা মুখে এক কথা বলেন আর কাজে আর এক কথা। ওঁরা দ্বিচারিতা করছেন। মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন। রাজ্য এবং জেলা স্তরের নেতাদের পরিবার সুযোগ নিচ্ছে, কিন্তু গ্রামবাসীদের ভুল বোঝাচ্ছেন। এই প্রকল্প সকলের জন্য। রাজনৈতিক মত নির্বিশেষে সকলেরই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নেওয়া উচিত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন