চারমাসে দু’বার সরকারি সংবর্ধনা বিরবাহাকে

এ দিন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বীরবাহাকে উত্তরীয়,স্মারক ও ফুলের তোড়া দিয়ে সম্মানিত করেন। সংবর্ধনা দেওয়ার সময় বিরবাহাকে দেখে স্মিত হাসেন পার্থ। গত ৯ অগস্ট ঝাড়গ্রামে আদিবাসী দিবসের সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে বিরবাহাকে সংবর্ধনা জানিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চার মাসের ব্যবধানে ফের সরকারি অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রীর হাত থেকে সংবর্ধনা পেলেন বিরবাহা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:০৯
Share:

সাঁওতালি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিরবাহা হাঁসদাকে ফের সংবর্ধনা জানাল রাজ্য সরকার। বুধবার ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে আদিবাসী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার রাজ্য স্তরের বার্ষিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সাঁওতালি সাহিত্যিক সারিধরম হাঁসদা, খেরওয়াল সরেন, ফুটবলার ভবানী মুণ্ডা, সঙ্গীতশিল্পী শিখা মাণ্ডির মতো আদিবাসী সমাজ-সংস্কৃতির ৯ জন গুণীজনদের সংবর্ধনা জানানো হয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিরবাহা।

Advertisement

এ দিন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বীরবাহাকে উত্তরীয়,স্মারক ও ফুলের তোড়া দিয়ে সম্মানিত করেন। সংবর্ধনা দেওয়ার সময় বিরবাহাকে দেখে স্মিত হাসেন পার্থ। গত ৯ অগস্ট ঝাড়গ্রামে আদিবাসী দিবসের সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে বিরবাহাকে সংবর্ধনা জানিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চার মাসের ব্যবধানে ফের সরকারি অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রীর হাত থেকে সংবর্ধনা পেলেন বিরবাহা। সাঁওতালি সিনেমার অভিনেত্রী বিরবাহা ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দা। বহু সফল সাঁওতালি সিনেমার অভিনেত্রী বিরবাহা ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা থেকে বহু পুরস্কার পেয়েছেন। সাঁওতালি সিনেমায় সুঅভিনয়ের জন্য জাতীয়স্তরের পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। তবে নিজের রাজ্য থেকে সে ভাবে সম্মান না পাওয়ায় বিরবাহার মনে কিছুটা হতাশা ছিল। এ দিন সংবর্ধনার পরে বিরবাহা বলেন, “গত অগস্টে মুখ্যমন্ত্রী আমাকে সম্মানিত করেছিলেন। এদিন আবার শিক্ষামন্ত্রী সংবর্ধনা দিলেন। সত্যি বলতে কী খুবই ভাল লাগছে।”

বিরবাহার মা চুনিবালা হাঁসদা ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-এর নেত্রী। বিরবাহাও এক সময় সক্রিয় রাজনীতি করেছেন। ২০১১ সালে চুনিবালা তৃণমূলের সমর্থনে বিনপুর বিধানসভায় প্রার্থী হয়ে হেরে যান। তারপর থেকে তৃণমূলের সঙ্গে কার্যত ‘শীতল’ সম্পর্ক ছিল চুনিবালার। তাই পর পর বিরবাহার এই সম্মান প্রান্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এ দিন ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে আদিবাসী নৃত্য, সঙ্গীত ও বাদ্যযন্ত্রের প্রতিযোগিতামূলক বার্ষিক অনুষ্ঠান। আদিবাসী উন্নয়ন সমবায় নিগম এবং আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতা এতদিন হত কলকাতায়।

Advertisement

এ বার প্রথম রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতাটি হচ্ছে ঝাড়গ্রামে। এই প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন জেলার ২২টি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ১৩৬ টি সাংস্কৃতিক দল যোগ দিয়েছে। এ দিন উদ্বোধনী বক্তৃতায় পার্থ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদিবাসী উন্নয়নে যে কাজ করেছেন, এ রাজ্যে এর আগে কেউ এমন কাজ করেননি।” পার্থবাবু জানান, এদিন মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি থেকে ফোন করে এই অনুষ্ঠানের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। কেউ যাতে বাদ না পড়েন সে কথা বলেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন