কৃষকদের আত্মহত্যাই এ বার অস্ত্র বিরোধীদের

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস বুরো-র অপরাধের বার্ষিক পরিসংখ্যান সংক্রান্ত রিপোর্টেই কৃষক আত্মহত্যার তথ্য থাকে। কিন্তু গত মাসে সেই রিপোর্ট যদিও বা দেরিতে প্রকাশ হয়, তাতে কৃষক আত্মহত্যার তথ্য ছিল না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৪৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

অযোধ্যা মামলার রায় ও রামমন্দির ঘিরে আবেগের আবহে এ বার আমজনতার রুটিরুজিকে আলোচনার কেন্দ্রে আনতে চাইছেন বিরোধীরা। নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে কোণঠাসা করতে কেন্দ্রের সদ্য প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানকে অস্ত্র করতে চান তাঁরা। পরিসংখ্যানটি কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে।

Advertisement

মোদী সরকারের প্রকাশিত ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৬-য় দেশে ১১ হাজারের বেশি কৃষক ও খেতমজুর আত্মঘাতী হয়েছেন। অর্থাৎ, কৃষি ক্ষেত্রে প্রতিদিন গড়ে ৩০টির বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা আজ প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘বিজেপি সরকারের লোকেরা সত্যকে এত ভয় পান কেন? বিজেপি জমানায় কৃষকেরা আত্মহত্যা করছেন। কিন্তু বিজেপি সরকার কৃষক-সমস্যা সমাধানের বদলে আত্মহত্যার রিপোর্টে কারচুপি ও তা ধামাচাপা দেওয়াটাই সঠিক মনে করে।’’ কৃষক আত্মহত্যার এই রিপোর্ট তুলে ধরে আজ তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন মনে করিয়ে দেন, এক সপ্তাহের মধ্যে সংসদের অধিবেশন শুরু হচ্ছে। কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলের নেতারা ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, অধিবেশনে অর্থনীতির সঙ্কটের সমস্যাগুলি নিয়ে তাঁরা সরব হবেন। সেখানে কৃষক আত্মহত্যাই প্রধান হাতিয়ার হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস বুরো-র অপরাধের বার্ষিক পরিসংখ্যান সংক্রান্ত রিপোর্টেই কৃষক আত্মহত্যার তথ্য থাকে। কিন্তু গত মাসে সেই রিপোর্ট যদিও বা দেরিতে প্রকাশ হয়, তাতে কৃষক আত্মহত্যার তথ্য ছিল না। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ‘দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু ও আত্মহত্যা’-র রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।

Advertisement

ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে কৃষক আত্মহত্যার সংখ্যা কম। কিন্তু সিপিএমের কৃষক সভার যুক্তি, ২০১৫-র তুলনায় ২০১৬-তে খেতমজুরদের আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। যা থেকে স্পষ্ট, কৃষকেরা খরার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পেও কোনও সুরাহা মেলেনি। নোটবাতিলের ফলেও ধাক্কা লেগেছে।

সাধারণ মানুষের প্রকৃত সমস্যার দিকে নজর দেওয়ার দাবি সামনে রেখে আজ, সোমবারই পথে নামছে সিপিএম। আজ ধর্মতলা থেকে মহাজাতি সদন পর্যন্ত মিছিল হবে কলকাতা জেলা সিপিএমের ডাকে। দলের পলিটবুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম-সহ রাজ্য নেতাদেরও ওই মিছিলে থাকার কথা। কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের বৈঠক ডাকা হয়েছে ১৪ নভেম্বর। তার পরে বামফ্রন্টের তরফেও কিছু কর্মসূচি নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন