কৃষকদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে বামপন্থী কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে নবান্ন অভিযানে সামিল হবে বামফ্রন্টের শরিক দলের গণ-সংগঠনগুলিও। ১০ অগস্ট কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলি থেকে মিছিল করে নবান্ন-মুখী হবে বামেরা। আলিমুদ্দিনে বৃহস্পতিবার ওই অভিযান যথাসম্ভব আটঘাঁট বেঁধে করা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। তার পরে ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছেন, শরিকদের গণ-সংগঠনগুলিকেও পতাকা ছাড়া নবান্ন অভিযানে সামিল করা হবে।
সচিত্র ভোটার পরিচিতিপত্রের দাবিতে ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই মহাকরণ অভিযান হয়েছিল তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। শেষ পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে যে অভিযান হয়েছিল রক্তাক্ত। এ বার বিধানসভা ভোটের আগের বছরে বিরোধী বামেরাও ক্ষমতাসীন মমতার বিরুদ্ধে আন্দোলনের গতি বাড়াতে চাইছে। এবং সেই লক্ষ্যেই তারা ব্যবহার করতে চাইছে কৃষকদের ক্ষোভকে। অনেকটা মমতার সেই মহাকরণ অভিযানের মতোই বাম কৃষক সভার ডাকে নবান্ন অভিযানেও একাধিক জায়গা থেকে মিছিল করা হবে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে বুধবারই ওই কর্মসূচির জন্য কলকাতার সংলগ্ন জেলাগুলিকে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। আজ, শুক্রবার আলিমুদ্দিনে ফের ফ্রন্টের বাইরের বাম দলগুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন বিমানবাবু।
বামেদের অভিযোগ, কৃষকেরা ধান-গমের ন্যায্যমূল্য থেক বঞ্চিত। ফসলের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাষিরা আত্মঘাতী হচ্ছেন। কৃষকদের দুরবস্থার কথা জানাতে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবিপত্র দেবে কৃষক সংগঠনগুলি। বিধানসভা ভোটের আগে কৃষকদের স্বার্থ নিয়ে পথে নেমে জেলায় জেলায় কর্মীদের উজ্জীবিত করতে চাইছে বামফ্রন্ট।