‘সবাই তখন ছুটে বেরিয়ে এসেছিল রাস্তায়’
সকালে উঠে পড়াশোনার কাজ করছিলাম। বইপত্র গুছিয়ে টেবিলে বসেছি। পড়ার কাজ চলছে। সকাল তখন ১০টা হবে, বা আরেকটু বেশি। খানিক ক্ষণ বাদে কলেজে বেরোব। তার আগে সামান্য প্রস্তুতি। আচমকা থরথর করে কেঁপে উঠলাম। মাথা ঘুরে গেল।
রীতিমতো ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। কী হল ব্যাপারটা। টানা ১৫ সেকেন্ড তো হবেই।চেয়ারটা এত জোরে নড়ে উঠেছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখি পাশে তাক থেকে কয়েকটা বোতল পড়ে গেল পর পর। বুঝতে পারলাম ভূমিকম্প হচ্ছে।
বাড়ি থেকে সোজা রাস্তায় বেরিয়ে এলাম। কোচবিহারের জেনকিন্স স্কুলের পাশেই রাসমেলার মাঠ।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে ভূমিকম্প, কেঁপে উঠল কলকাতাও
তার কাছেই আমি থাকি। রাস্তায় বেরিয়ে দেখলাম। আরও মানুষ জন রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন। ল্যাম্পপোস্টটা দুলছে। কিছু ক্ষণ পর থামল কম্পন। তবে আতঙ্কটা পুরোপুরি গেল না।
কলেজে গিয়েও দেখলাম আতঙ্ক কাটছে না। অনেক পড়ুয়ার মধ্যেই এই আতঙ্কটা ছিল। বেশিরভাগেরই বাড়ি আশেপাশেই। স্থানীয় বাসিন্দা ও কলেজের সহকর্মীরাও এই কম্পন টের পেয়েছেন শুনলাম।তবে তুলনামূলকভাবে ছাত্ররা আজ একটু কমই এসেছে ক্লাসে।উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা হিসাবে এটা বলতে পারি, এখানে ভূমিকম্প বেশিই হচ্ছে ইদানিং। জানিনা, গাছ কাটার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তবে কোচবিহার শহরে গাছ একেবারে কমে গিয়েছে। পাখিও কমে গিয়েছে। ঘন ঘন ভূমিকম্পের সঙ্গে কি এর কোনও সম্পর্ক রয়েছে? উত্তরটা জানতে হবে।
(লেখক, কোচবিহারের এবিএন শীল কলেজের বাংলার শিক্ষক)
দুই বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল, পুরুলিয়া, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া সহ দক্ষিণবঙ্গের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা খবর, 'বাংলার' খবর পড়ুন আমাদের রাজ্য বিভাগে।