রং-তুলি হাতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সোমবার। —নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতে কোথাও শুরু হয়েছে দেওয়াল দখলের লড়াই, কোথাও আবার দেওয়াল জুড়ে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর নাম, প্রতীক লিখে সোচ্চারে প্রচার। সেই সব টক্করের বাইরে অন্য এক ছবি দেখল সোমবারের শান্তিনিকেতন। এ দিন শান্তিনিকেতনের একটি দেওয়ালে তুলি নিয়ে হলুদ পলাশে শেষ টান দিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। কলাভবনের পড়ুয়াদের সঙ্গে কথাও বললেন। তাঁদের ‘মোমো’ খাওয়ার সাধও রাখলেন।
ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই শান্তিনিকেতনের দেওয়াল অন্য ভাবে রাঙানোর কাজ শুরু করেছিলেন কলাভবনের পড়ুয়ারা। প্রথম কাজটি তাঁরা করেন ভাষা-বিদ্যা বিল্ডিংয়ের সামনের একটি দেওয়ালে। মূলত সাদা-কালো রংয়ের এই দেওয়াল চিত্রের কাজ করছিলেন কলাভবনের জনা চল্লিশেক পড়ুয়া। এর পরে শান্তিনিকেতনের প্রথম গেট থেকে শুরু করে বাঁধের পার যাওয়ার রাস্তার আগে পর্যন্ত থাকা দেওয়াল সাদা রং করা হয়। সেখানেও ওই পড়ুয়ারা কালো এবং হলুদ রংয়ে দেওয়াল চিত্র এঁকে সাজিয়ে তুলছেন দেওয়াল।
দু’টি দেওয়ালই এক সময় বিশ্বভারতীর বিভিন্ন সংগঠনের পড়ুয়াদের লেখা রাজনৈতিক বার্তা কিংবা পোস্টারে ভরে থাকত। সেই দুটি দেওয়ালে এমন নান্দনিক কাজের প্রশংসা করেছিলেন উপাচার্য। সাংবাদিক বৈঠকেই কলাভবনের অধ্যক্ষ গৌতম দাসকে ভাল কাজ হচ্ছে বলে জানান। এর পরই সেখানে উপস্থিত সকলের অনুরোধে ওই দেওয়ালের কাছে পৌঁছে যান। তুলির টানে এঁকে ফেলেন হলুদ পলাশ। পড়ুয়ারা জানালেন, প্রকৃতির দিক খেয়াল রেখেই এই কাজ চলছে।
এমন উদ্যোগে খুশি স্থানীয়রাও। সাধুবাদ জানিয়েছেন পথচলতি মানুষজনও। তাঁদের অনেকেই মনে করিয়েছেন, ‘‘দেওয়ার যেন এমনই থাকে সে দিকটাও নজরে রাখতে হবে।’’ পড়ুয়াদের এমন কাজে খুশি হয়ে তাঁদের মিষ্টি খাওয়াতে চান উপাচার্য। পড়ুয়ারা পাল্টা মোমো খাওয়ার কথা বলতেই সেই আবদারও আর ফেরাননি বিদ্যুৎবাবু। এতে খুশি পড়ুয়ারাও।