প্রায় ১৫ হাজার লিটার জল ঢেলে নেভানো হল আগুন। —নিজস্ব চিত্র।
ব্যারাকপুর থেকে যাওয়া বায়ুসেনার এমআই-১৭ হেলিকপ্টার জল ঢালল প্রায় ১৫ হাজার লিটার। তাতেই প্রায় চার দিন পরে নিভল সুন্দরবনের কাছে আটকে থাকা ‘এমভি এসএসএল কলকাতা’র আগুন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র উইং কম্যান্ডার সিমরনপাল সিংহ বিরদি রবিবার এ কথা জানান। ভেসেল থেকে কোনও তেল বা রাসায়নিক সাগরের জলে মেশেনি বলে জানিয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র জানান, এ দিন সকালে উইং কম্যান্ডার নিখিল মেহরোত্রা ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট অতুল মিশ্র প্রথমে ফ্রেজারগঞ্জ হেলিপ্যাডে যান। সেখান থেকে ছ’বার জল নিয়ে উড়ে যেতে হয়েছে ভেসেলের উপরে। মেরিন কম্যান্ডো নামিয়ে শনিবারেই ভেসেলটিকে নোঙর করানো হয়। সেটি সুন্দরবন থেকে মাত্র আট নটিক্যাল মাইল দূরে রয়েছে।
উপকূলরক্ষী বাহিনী সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক, বারুইপুর ও সুন্দরবনের পুলিশ সুপার, জেলা মৎস্য দফতরকে চিঠি লিখে জানানো হয়েছে, উপকূল থানা, জেলা প্রশাসন, বন দফতর কিংবা মৎস্যজীবীরা তেল ছড়ানোর কোনও খবর পেলেই যেন উপকূলরক্ষীদের জানানো হয়। মৎস্যজীবীদের জ্বলন্ত ভেসেলের কাছেপিঠে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
দেখুন ভিডিয়ো
স্যান্ডহে়ডের কাছে বুধবার রাতে কন্টেনার বোঝাই ওই ভেসেলে আগুন লাগে। ২২ জন কর্মীকে উদ্ধার করা হয়। আগুন নিভিয়ে জলযানটিকে উদ্ধার করা যায় কি না, তার জন্য বিদেশি সংস্থাকে ডেকেছে ভেসেলের মালিক সংস্থা।
আরও পড়ুন
কম্যান্ডোরা নামলেন, থামল জ্বলন্ত ভেসেল
রবিবার উপকূলরক্ষী বাহিনীর ডর্নিয়ের বিমানে চাপিয়ে বিদেশি সংস্থার বিশেষজ্ঞদের পরিদর্শনে নিয়ে যাওয়া হয়। বিমান থেকেই ভেসেলের ছবি তুলে পুরো পরিস্থিতি ভাল ভাবে যাচাই করা হয়।
বুধবার রাতে কন্টেনার বোঝাই ভেসেলটিতে আগুন লাগে। —ফাইল চিত্র।
উপকূলরক্ষী বাহিনীর আইজি (উত্তর-পূর্বাঞ্চল) কুলদীপ সিংহ শেওরান বলেন, ‘‘ভেসেলটিকে উদ্ধার করতে আমরা সব দিক থেকে সাহায্য করছি। ভেসেল থেকে বেরোনো ধোঁয়ার কমতে শুরু করেছে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় নজরদার জাহাজের পাশাপাশি ফ্রেজারগঞ্জে চারটি হোভারক্রাফট এবং হলদিয়ায় তিনটি অতিরিক্ত জাহাজ প্রস্তুত রয়েছে।’’