পাওয়ার গ্রিড নিয়ে সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ভাঙড়ের উন্নয়ন নিয়ে কথাই বলতে আগ্রহী নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার পৈলানে প্রশাসনিক বৈঠকে ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলাম জমির চরিত্র পরিবর্তন বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। কিন্তু ভাঙড়ের বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কোনও কিছু হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্টে আরাবুলকে বলেন, ‘‘আগে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করো, তারপরে সব শুনব।’’ ভাঙড়ের জেলা পরিষদ সদস্য কাইজার আহমেদ আবার বলার চেষ্টা করেছিলেন, আর্সেনিকের সমস্যা নিয়ে। পাইপ লাইনের জলের ব্যবস্থা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানান তিনি। তাঁকে কার্যত মাঝপথেই থামিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওখানে বিদ্যুৎ নিয়েও সমস্যা রয়েছে। জল আর বিদ্যুৎ একই সমস্যা। আগে বিদ্যুৎ সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করো। তারপর আমি দেখব।’’
এ দিন আরও একবার পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘ওখানকার পাঁচ জন (গ্রিড বিরোধী আন্দোলনকারী) আর আপনারা
অবিলম্বে বৈঠক করুন। অন্য কেউ থাকবে না। সমস্যার সমাধান করতে হবে।’’ মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য, ‘‘আমার রাজ্য অন্ধকার হয়ে থাকবে, তা হতে পারে না। কয়েকজন বাজে লোক এলাকা অন্ধকার করে রাখবে, তা আমি সহ্য করতে পারব না। একটা পথ বার করতে হবে।’’
আরও পড়ুন: মমতার গাড়ির পিছনে বাইক ছুটিয়ে শ্রীঘরে