সাসপেন্ড পাঁচ শিক্ষক, বিপাকে পড়ুয়ারা

স্কুল সূত্রের খবর, গত ৭ অক্টোবর কয়েক জন ছাত্রকে হিঙ্গলগঞ্জে শ্যুটিংয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন স্কুলের পাঁচ শিক্ষক। তাঁর মধ্যে ছিলেন পদার্থবিদ্যার দুই শিক্ষকও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৭
Share:

—প্রতীকী ছবি।

কিশোর ভারতী স্কুলে এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় শিক্ষকদের সাসপেন্ড করায় আপাতত স্বস্তি পেয়েছে মৃত পড়ুয়ার পরিবার। কিন্তু মাথায় হাত পড়েছে ওই স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের। আগামী ডিসেম্বরে ওই দুই ক্লাসের পদার্থবিদ্যার প্র্যাকটিকাল পরীক্ষা। শিক্ষকেরা অনুপস্থিত থাকলে কী করে পরীক্ষা হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ুয়ারা।

Advertisement

স্কুল সূত্রের খবর, গত ৭ অক্টোবর কয়েক জন ছাত্রকে হিঙ্গলগঞ্জে শ্যুটিংয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন স্কুলের পাঁচ শিক্ষক। তাঁর মধ্যে ছিলেন পদার্থবিদ্যার দুই শিক্ষকও। অভিযোগ, শ্যুটিং চলাকালীন সেখানেই জলে ডুবে মারা যায় ষষ্ঠ শ্রেণির রাজর্ষি দাস। গাফিলতির অভিযোগ ওঠে স্কুলের বিরুদ্ধে। থানা থেকে বিষয়টি গড়ায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদে। পর্ষদের শুনানিতে প্রাথমিক ভাবে ওই পাঁচ শিক্ষকের গাফিলতি প্রমাণিত হয়। স্কুলের পরিচালন সমিতি শিক্ষকদের সাসপেন্ড করে। বিভাগীয় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই শিক্ষকেরা কাজ করতে পারবেন না।

তার পরেই এ নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। সাসপেন্ড হওয়া শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন পদার্থবিদ্যার দু’জন শিক্ষকও। স্কুলে ওই বিষয়ের আর শিক্ষক নেই। এ ছাড়াও রয়েছেন হিন্দি ও কম্পিউটারের শিক্ষক। স্কুলে হিন্দির শিক্ষক এক জনই। পাশাপাশি, কম্পিউটারের দু’জন শিক্ষক থাকলেও এক জন ব্যক্তিগত কারণে আসছেন না। অন্য জন সাসপেন্ড হওয়ায় দুশ্চিন্তায় স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

স্কুল সূত্রে খবর, শনিবার শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়ে একটি বৈঠকে বসেন প্রধান শিক্ষক নিত্যরঞ্জন বাগচী। সেখানে ঠিক হয়েছে, জেলা স্কুল পরিদর্শক (ডিআই)-কে বিষয়টি জানানো হবে। পাশাপাশি, বোর্ড ও পরিচালন সমিতিকেও সমস্যার কথা লিখিত ভাবে জানানো হবে। দ্রুত সমাধান না হলে পঠনপাঠনের ক্ষেত্রে অসুবিধা হতে পারে।

বিকাশ ভবনের এক কর্তা অবশ্য জানান, প্র্যাকটিকাল পরীক্ষার জন্য অন্য স্কুল থেকে শিক্ষক নেওয়া যেতে পারে। স্কুল কর্তৃপক্ষ তা করলেই সমস্যা মিটে যাবে। এর জন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সুর নরম করা হবে না। তিনি জানান, শিক্ষকদের পরিচালন সমিতি থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর পরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সম্মতি দিলেই বিভাগীয় তদন্ত শুরু হবে।

পরিচালন সমিতির সরকারি প্রতিনিধি শৌভিক ঘোষ জানান, এতে পড়ুয়াদের সমস্যা হবে না। অন্য স্কুল থেকে শিক্ষককে এনে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। হিন্দির শিক্ষকের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি। শৌভিকবাবু বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের সমস্যা মেটাতে স্কুলশিক্ষা দফতর ও পর্ষদ সচেষ্ট।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন