—ফাইল চিত্র।
স্পাইসজেটের বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান আপাতত বসিয়ে দেওয়ার জন্য অন্ডালে বিমান চলাচল নিয়ে ফের আশঙ্কা তৈরি হল। আগামী এপ্রিল থেকে বেসরকারি এই উড়ান সংস্থা অন্ডাল থেকে তাদের পরিষেবা আদৌ শুরু করতে পারবে কি না, তা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
ইথিয়োপিয়ায় বিমান দুর্ঘটনার জেরে সারা বিশ্বে বোয়িং-এর ম্যাক্স বিমান ছিল, তা আপাতত বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্পাইস জেটের হাতে এই মুহূর্তে ১২টি ম্যাক্স বিমান রয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, কেন্দ্রের যে ‘উড়ান’ প্রকল্প শুরু হয়েছে, তার তৃতীয় পর্যায়ে ১৫ এপ্রিল অন্ডাল থেকে পরিষেবা শুরু করার কথা ছিল স্পাইসের। একটি উড়ান যাওয়ার কথা ছিল অন্ডাল থেকে মুম্বই এবং অপরটি অন্ডাল থেকে চেন্নাই।
সাধারণত কোনও নতুন গন্তব্যে উড়ান চালু করলে তার টিকিট সেই উড়ান সংস্থার ওয়েবসাইটে ন্যুনতম ৬০ দিন আগে থেকে পাওয়া যাওয়ার কথা। অন্ডাল থেকে চেন্নাই ও মুম্বইয়ের উড়ানের কোনও টিকিট এখনও সাইটে নেই। সংস্থার তরফে খবর, জুন-জুলাইয়ের আগে অন্ডাল থেকে উড়ান পরিষেবা চালু হওয়া মুশকিল। সারা দেশে ১২টি বিমান বসে যাওয়ায় এখন অনেক লাভজনক রুটে উড়ান বাতিল করতে হচ্ছে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সেখানে উড়ান চালানোর প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ম্যাক্স ছাড়াও স্পাইসের হাতে এখন অনেকগুলি বম্বার্ডিয়ার কিউ ৪০০ বিমান রয়েছে। গুয়াহাটি-কলকাতার মতো অনেক ছোট রুটে সেই বিমান চলছে। প্রয়োজনে সেটি অন্ডাল-মুম্বই রুটেও চালানো সম্ভব। কিন্তু, এই মুহূর্তে উড়ান সংস্থার অগ্রাধিকারের তালিকায় অন্ডাল নেই। সংস্থার এক কর্তার কথায়, ‘‘আমরা আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি ম্যাক্স বিমান নিয়ে উদ্ভুত সমস্যা মিটে যাবে। তারপরে অন্ডাল থেকে উড়ান চালু হতে পারে।’’
নবান্নের কর্তাদের মতে, সংস্থার হাতে থাকা ম্যাক্স বিমানগুলো সর্বোচ্চ এক-দেড় বছরের পুরনো। প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তার কথায়, ‘‘স্পাইসজেট এপ্রিলে অন্ডাল থেকে তাদের পরিষেবা শুরু করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। অন্ডাল থেকে মুম্বই ও চেন্নাইয়ে এই ম্যাক্স বিমানগুলোই ব্যবহার করার কথা ছিল। কবে সেগুলি ওড়ার ছাড়পত্র পাবে তার উপরে অন্ডালের উড়ান পরিষেবা চালু নির্ভর করবে।’’
এই মুহূর্তে এয়ার ইন্ডিয়া সপ্তাহে চার দিন অন্ডাল থেকে দিল্লি এবং তিন দিন অন্ডাল থেকে হায়দরাবাদে উড়ান চালাচ্ছে। প্রশাসনিক কর্তাদের ব্যাখ্যায়, তার সঙ্গে স্পাইসজেটের উড়ান চালু হলে বড় সংখ্যক যাত্রীদের সুবিধা হতো। নবান্নের এক কর্তা জানিয়েছেন, অন্ডাল থেকে নিয়মিত উড়ান চালু হওয়ায় বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত যাত্রীদের সুবিধা হচ্ছে। বিশেষত, যাঁরা দুর্গাপুর, বর্ধমান, আসানসোল, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া থেকে যাতায়াত করেন, তাঁদের বিমান ধরার জন্য কলকাতা পর্যন্ত আসতে হচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত স্পাইসজেট তাদের পরিষেবা শুরু করতে না পারলে বিমান মন্ত্রক সমান্তরাল কিছু একটা উপায় বের করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন নবান্নের কর্তারা।