প্রতীকী ছবি।
হাতিমৃত্যু ঠেকাতে রেল ও বন দফতরের মধ্যে বৈঠকটা ছিল শুক্রবারই। সেই রাতেই ডুয়ার্সের বানারহাটে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল একটি হাতির। ফলে বৈঠকে যে সব পরিকল্পনা নিয়েছে রেল ও বন দফতর, তা দ্রুত রূপায়ণের ব্যাপারে চাপও বেড়ে গেল দুই পক্ষের উপরে।
বৈঠকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। মাদারিহাটের এই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, পরীক্ষামূলক ভাবে একটি রেলগেটে এই ক্যামেরা বসানো হবে। জলঢাকার কাছে একটি ওভারপাস তৈরির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।
আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের রেলওয়ে ম্যানেজার চন্দ্রবীর রমন বলেন, ‘‘হাতি যে সব অঞ্চল দিয়ে রেললাইন পার করে, সেখানে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। ওই ছবি রেলের কন্ট্রোলরুম মারফত সংশ্লিষ্ট কেবিন এবং স্টেশন মাস্টারের কাছে পৌঁছবে। ওই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে ট্রেন চালকের কাছে। সেই অনুযায়ী ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি দেখবেন তাঁরা।’’
আলিপুরদুয়ার জংশন ও শিলিগুড়ির মধ্যে রেল লাইন মিটারগেজ থেকে ব্রডগেজ করার পরে এখান দিয়ে নিয়মিত যাত্রিবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তার পর থেকেই হাতি মৃত্যুর ঘটনা বাড়তে থাকে। এখন পর্যন্ত ট্রেনের ধাক্কায় প্রায় ৬০টি হাতি মারা গিয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। এই মৃত্যু ঠেকাতে রেল ও বন দফতরের যৌথ কমিটি এখনও অবধি রেল লাইনের ধারে ‘হানি বি’ যন্ত্র বসানো বা লোহার বেড়া দেওয়ার মতো পদক্ষেপ করেছে। বনকর্তারা বলেন, বেশির ভাগ জায়গাতেই সোজা লাইন। তাই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা হলে রাতেও দেখা সম্ভব।