—ফাইল চিত্র।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অবস্থা সঙ্কটজনক হলেও স্থিতিশীল। এখনও তিনি ভেন্টিলেটারেই রয়েছেন। তবে, তাঁকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হচ্ছে না। তাঁকে ভেন্টিলেটর থেকে বার করে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। শুক্রবার সকালে মেডিক্যাল বুলেটিনে চিকিৎসকরা বলেছেন, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন বুদ্ধদেব। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার বিরাট কোনও পরিবর্তন হয়নি। তাঁদের পরিভাষায় ‘উল্লেখযোগ্য ঘটনাহীন’ রাত্রি কেটেছে হাসপাতালে। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি। ডাকলে চোখ খোলার চেষ্টাও করছেন। সকাল ১১টার বুলেটিনে বলা হয়, তাঁ জ্ঞান রয়েছে এবং ভেন্টিলেটর থেকে বার করে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসাধীন। তাঁর চিকিৎসায় তৈরি করা হয়েছে ১১ সদস্যের মেডিক্যাল টিম।
শুক্রবার সকালের মেডিক্যাল বুলেটিন বলছে, তাঁর রক্তচাপ ১৩০/৬০। পালস রেট প্রতি মিনিটে ৭৬। মূত্রনিষ্ক্রমণ সন্তোষজনক। অক্সিজেনের মাত্রার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণও উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে।
বুধবার হাসপাতালে ভর্তির সময় বুদ্ধদেবের অক্সিজেন স্যাচুরেশন ছিল ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। বৃহস্পতিবার সেই মাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৯২ থেকে ৯৫-এর মধ্যে। শুক্রবার সেই পরিমাণ ৯৬। ১০০ শতাংশের কাছাকাছি থাকলে এই মাত্রা স্বাভাবিক। তাঁকে খাওয়ানো হচ্ছে রাইলস টিউব দিয়ে। তাঁকে বিভিন্ন ধরনের ইন্টার ভেনাস ফ্লুইড দেওয়া হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক এবং স্টেরয়েডও।
আরও পড়ুন: চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন বুদ্ধদেব, স্বাভাবিক রক্তচাপ, পালস রেট
দীর্ঘ দিন ধরেই সিওপিডি-র সমস্যায় ভুগছেন বুদ্ধদেব। বুধবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তখন তাঁর জ্ঞান ছিল না। প্রথমে তাঁকে বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। রাতে দেওয়া হয় ভেন্টিলেশনে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁকে ধীরে ধীরে ভেন্টিলেটর থেকে বের করার চেষ্টা করা হতে পারে। যার প্রথম ধাপ হিসেবে শুক্রবার ঘুমের ওষুধ বন্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার ইঙ্গিত রাজ্যে, মুখ্যসচিব ও ডিজি-র সঙ্গে বৈঠকের পর টুইট রাজ্যপালের
তবে বুদ্ধদেবের শরীরের একাধিক বিষয়ের মাপকাঠি পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা যেমন আশান্বিত, তেমনই বেশ কিছু বিষয় নিয়ে তাঁরা গভীর উদ্বেগেও রয়েছেন। যে কারণেই বলা হচ্ছে, তিনি ‘সঙ্কটজনক হলেও স্থিতিশীল’।
(গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ)