প্রতীকী ছবি।
মেলা থেকে ফেরার সময় রাস্তা আটকে এক শবর মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল পুরুলিয়ার পুঞ্চায়। ‘মারধর’ করা হয় বধূটির সঙ্গীকেও। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই এলাকার চার যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃতেরা হল সন্দীপ ওরফে মাতাল মাহাতো, অভিজিৎ মাহাতো, দীপক মাহাতো ও অমিত মাহাতো। তাদের বাড়ি পুঞ্চা থানা এলাকায়। বয়স ১৯ থেকে ২৫-এর মধ্যে। আর এক জনের খোঁজ চলছে। অভিযুক্তদের আজ, সোমবার পুরুলিয়া আদালতে তোলা হবে। রবিবার পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ওই মহিলাকে নিয়ে গিয়ে ডাক্তারি-পরীক্ষা করানো হয়। পুলিশ সূত্রের দাবি, পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
জেলার পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের মধ্যে এক জনকে মহিলা চেনেন না। তারও খোঁজ চলছে।’’
শনিবার সন্ধ্যায় স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে মেলায় গিয়েছিলেন ওই বধূ। পরে সন্তানদের নিয়ে বাড়ি ফিরে যান তাঁর স্বামী। রাত ১২টা নাগাদ গ্রামেরই পরিচিত এক জনের মোটরবাইকে চেপে মেলা চত্বর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বছর বত্রিশের ওই মহিলা। অভিযোগ, মাঝ রাস্তায় পিছন থেকে তিনটি মোটরবাইকে চার যুবক এসে রাস্তা আটকে তাঁদের থামতে বাধ্য করে। মোটরবাইকের চালককে মারতে মারতে রাস্তায় ফেলে দেয়। বধূটিকে পাশের মাঠে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে।
বধূটির কথায়, ‘‘চারটে ছেলে আমার পরিচিত। এক জনকে চিনি না। ওদের মুখ থেকে মদের গন্ধ বেরোচ্ছিল। আমাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ওদের হাতে-পায়ে ধরি। কাকুতি-মিনতি করি। শুনল না!’’
ইতিমধ্যে ‘আক্রান্ত’ মোটরবাইক চালক গ্রামে ও থানায় খবর দেন। পুলিশ পৌঁছে ওই বধূকে উদ্ধার করে। রাতেই তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। বধূটির স্বামী বলেন, ‘‘যারা এমন করল, তারা যেন শাস্তি পায়।’’