উদ্ধার: মাদুরদহের ফ্ল্যাট থেকে টাকার বাক্স ও ট্রাঙ্ক নিয়ে বেরোচ্ছেন সিআইডি অফিসাররা। মঙ্গলবার। ছবি: রণজিৎ নন্দী
সংসারের হাঁড়িকুড়িটুকুই শুধু হয়তো বাদ পড়েছে। তাঁর ঘরে বাদবাকি যা আছে, তা-ই বাজেয়াপ্ত করেছে সিআইডি!
রান্নাঘরের চিমনি, জলের ফিল্টার, মাইক্রো ওভেন, ফ্রিজ থেকে শুরু করে এলইডি টিভি, চেয়ার-টেবিল, বাথরুমের গিজার, খাট, পাখা, আলমারি— এমনকী মাটির ফুলদানি। সবই ঠাঁই পেয়েছে ভারতী ঘোষের নাকতলার বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা জিনিসের তালিকায়। যা দেখে এখন চোখ কপালে আইনজীবীদের। পুলিশের একাংশ অবশ্য বলছে, ভারতীর যে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি রয়েছে তা প্রমাণ করতে এই তালিকা কাজে দেবে।
ভারতীর আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘ভারতীদেবী দীর্ঘদিন রাষ্ট্রপুঞ্জে ছিলেন। বহু টাকা ভাতা পেয়েছেন। তা ছাড়া, রাজ্য সরকারের উচ্চপদে ছিলেন। তাঁর পৈতৃক সম্পত্তিও রয়েছে। তাঁর স্বামীও চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। এই হাস্যকর তালিকা দেখিয়ে পুলিশ কী বোঝাতে চাইছে?’’
নাকতলায় ভারতীর স্বামী এম এ ভি রাজুর বাড়িতে গত শুক্রবার থেকে টানা ৩৬ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে এই ‘সিজার লিস্ট’ তৈরি করেছে পুলিশ। ফ্ল্যাটের কয়েকটা ঘর সিল করে রাখা হয়েছে। দফায় দফায় লরিতে বাজেয়াপ্ত করা সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০টি জমির দলিল, ৪০০ গ্রাম সোনার গয়না, ঠাকুরঘরের বিগ্রহের পাশাপাশি প্রায় গেরস্থালির প্রায় সব জরুরি জিনিসই বাজেয়াপ্ত তালিকায় রাখা হয়েছে। শুধু নাকতলার বাড়ি নয়, মাদুরদহের একটি আবাসনে ভারতীর পাঁচটি ফ্ল্যাট রয়েছে বলে দাবি করে সিআইডি সূত্রে বলা হচ্ছে, সেখানেও একই ভাবে তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত জিনিসের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এক পুলিশকর্তার ব্যাখ্যা, সতর্কতার কারণেই সব জিনিস তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।