সূচনা: বাস পরিষেবা উদ্বোধন করছেন মৌসম নুর। নিজস্ব চিত্র
ট্রেন পরিষেবা নাম মাত্রই। কলকাতা যেতে ভরসা বেসরকারি বাস। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে কাছে পেয়ে গাজল-কলকাতা বাস পরিষেবা চালুর দাবি তুলেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। অবশেষে দাবিপূরণ হল গাজলবাসীর। রবিবার সকালে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের এই বাস পরিষেবার উদ্বোধন করলেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া উত্তর মালদহের সাংসদ মৌসম নুর। লোকসভা ভোটের আগে বাস পরিষেবা চালুকে চমক বলে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলের নেতারা।
মালদহ শহর থেকে গাজলের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। ওই ব্লকে ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। গাজলের উপর দিয়েই গিয়েছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। গাজল থেকে শুরু হয়েছে ৮১ এবং ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কও। কিন্তু এখান থেকে কলকাতা যেতে হিমশিম খেতে হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাজল স্টেশন থেকে কলকাতা যাওয়ার মাত্র দু’টি ট্রেন রয়েছে। সকালে তেভাগা এক্সপ্রেস এবং রাতে গৌড় লিঙ্ক। ফলে ট্রেনে কলকাতা যেতে হল গাজলবাসীকে ৩০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ছুটতে হয় মালদহ টাউন স্টেশনে। তাই ট্রেনের পরিবর্তে অনেকে বাসেই যাতায়াত করেন। তবে যাত্রীদের ভরসা বেসরকারি বাসই।
পঞ্চায়েত ভোটের মাস খানেক আগে গাজলের বিদ্রোহী মোড় দলীয় সভা করেছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভায় গাজলের বিধায়ক দিপালী বিশ্বাস তাঁর কাছে গাজল-কলকাতা সরকারি বাস পরিষেবা চালুর দাবি করেছিলেন। মন্ত্রী তাঁদের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। এ দিন উদ্বোধনে মৌসম বলেন, “আমাদের বিধায়ক পরিবহণমন্ত্রীর কাছে সরকারি বাস পরিষেবার দাবি করেছিলেন। মন্ত্রী সেই দাবি পুরণ করেছেন। ফলে গাজল সহ আশে পাশের এলাকার মানুষদেরও সুবিধে হবে।” মৌসম তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় পরিবহণ মন্ত্রী তড়িঘড়ি বাস পরিষেবা চালু করল বলে দাবি বিরোধীদের। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, “লোকসভা ভোটে মৌসমকে সুবিধা দিতে তড়িঘড়ি চালু করা হল বাস পরিষেবা।”